ফেসবুকে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরধরে প্রবাসীর স্ত্রী রাতের আধাঁরে পালিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে আসার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
থানায় জিডি করার খবর পেয়ে ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে তার বাবা উল্টো যৌতুকের অভিযোগ এনে প্রবাসী স্বামীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার নন্দনপট্টি গ্রামের।
শনিবার সকালে গৃহবধূর রত্না আক্তারের (২০) শাশুড়ি ওই গ্রামের ইয়াকুব আলী সরদারের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৭০) জানান, তার ছেলে ইরাক প্রবাসী আরিফ সরদারের সাথে তিন বছর আগে পাশ্ববর্তী বাঙ্গিলা গ্রামের দেলোয়ার সরদারের মেয়ে রত্না আক্তারের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে আয়ান নামের সাত মাসের একটি পুত্র ছেলে রয়েছে।
সুফিয়া বেগম আরও জানান, আরিফের সাথে বিয়ের পর (আরিফ দেশে থাকাকালীন সময়) রত্না প্রায়ই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতো। এনিয়ে আরিফ ও রত্নার মধ্যে একাধিকবার ঝগড়াও হয়েছে। পরবর্তীতে আরিফ ইরাক চলে যাওয়ার সুযোগে রত্না আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আর এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বললেই প্রবাসী আরিফের পরিবারের সদস্যদের যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়ে আসছিলো রত্না। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট বিকেলে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এক যুবকের সাথে কথা বলায় তিনি (সুফিয়া বেগম) রত্নাকে শ্বাসায়। এতে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে রত্না ওইদিন দিবাগত রাত একটার দিকে সবার অজান্তে শিশু আয়ানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়।
প্রবাসী আরিফের মা সুফিয়া বেগম বলেন, তাদের সকলের অজান্তে রত্না তার ব্যবহারের সকল জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরেরদিন তিনি (সুফিয়া) বাদী হয়ে পুত্রবধূ রত্নার বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। সুফিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, থানায় জিডি করার পর রত্নাকে বাঁচাতে তার বাবা উল্টো যৌতুকের অভিযোগ এনে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।