জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলায় অবস্থিত বিভাগীয় ছোট মনি নিবাস বা বেবী হোমে ঠাঁই হয়েছে ভোলার একটি সুপারি বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক ছেলে সন্তান ও বরগুনায় ধর্ষিতা কিশোরীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করা শিশু কন্যার।
শনিবার বিকেলে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ জানান, ভোলার একটি সুপারী বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক পুত্র সন্তানকে শুক্রবার দিবাগত রাতে ও বরগুনা জেলার সদর থানার ফুল চলুয়া গ্রামের ১৬ বছরের এক কিশোরীর কন্যার চার বছরের মেয়ে তাইয়েবাকে শনিবার দুপুরে বেবী হোমে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্রমতে, বরগুনা জেলার সদর থানার ফুল চলুয়া গ্রামের সানু ফকিরের ছেলে জহিরুল (১৯) এক ষোড়শী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ-সংক্রান্ত মামলায় আদালতের বিচারক ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি জহিরুলকে অভিযুক্ত করে দশ বছরের সশ্রম কারাদ- এবং এক লাখ টাকা ধর্ষকের বাবার কাছ থেকে আদায় করে ধর্ষিতাকে পরিশোধের আদেশ প্রদান করেন। ওই আদেশে কিশোরীর গর্ভজাত সন্তান তাইয়েবার বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত সরকার থেকে ভরণ পোষণের দ্বায়িত্বভার গ্রহনের আদেশ প্রদান করা হয়।
আদালতের আদেশের পর ওই কিশোরী বরগুনা জেলা প্রশাসক ও জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি হাবিবুর রহমানের কাছে তার শিশু তাইয়েবার ভরণ পোষণের দায়িত্ব গ্রহনের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রবেশন অফিসারের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমে শিশু তাইয়েবাকে শনিবার দুপুরে হস্তান্তর করেন।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের দালালপুর গ্রামের একটি সুপারি বাগান থেকে সদ্যজাত পুত্র সন্তানকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, দালালপুর গ্রামের রাব্বি নামে এক যুবক দূর থেকে দেখতে পান মোটরসাইকেলযোগে এক নারী ও পুরুষকে পোটলা নিয়ে সুপারী বাগানের থামে। পরে তারা পোটলা বাগানের মধ্যে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে রাব্বি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পোটলার মধ্যথেকে নবজাতক ছেলে শিশুকে উদ্ধার করে।