বাগেরহাট জেলা কারাগারের প্রাচীর ঘেষে নির্মান করা ভবন অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয়দের পক্ষে এই দাবি জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আনোয়ার। এসময়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোজাফফর হোসেন, অধ্যাপক সালেহ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের হাটার জন্য তিনফুট জায়গা ছেড়ে দিয়ে গনপূর্তি বিভাগ বাগেরহাট জেলা কারাগারের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করে। কারাগারের পূর্বপাশের বাসিন্দারা ওয়ালের পাশে ১২ ফুট জায়গা রেখে তাদের বাড়িঘর নির্মান করেছেন। কিন্তু পশ্চিমপাশে মিঠু তরফদার নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে কারাগারের সীমানা ঘেষে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে দুই তলা ভবন নির্মান করেছেন। এর ফলে কারাগারের বন্দিদের নিরাপত্তা যেমন বিঘিœত হচ্ছে, তেমনি কাগাড়ারের পশ্চিম পাশে এলাকাবাসীর যাতায়েতেও বিঘœ ঘটছে। এ বিষয়ে বারবার কারা কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। এমনকি মিঠুকে পর্যাপ্ত জমি রেখে ভবন নির্মান করতে বললে সে বখাটেদের দিয়ে আমাকে হুমকীও এবং টাকাও চেয়েছে। ওই ভবন ও ভবনের পাশের বাউন্ডারি ওয়াল অপসারণ করে এলাকাবাসীর যাতায়েতের সুব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে ভবনের মালিক মিঠু তরফদার বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে দুই তলার উপরে করতে নিশেধ করেছিলেন। তাই দুইতলা করেই আমি ভবন নির্মান বন্ধ করেছি। এ ছাড়া আমার জমির পিছনে সরদার আনোয়ারের কয়েক বিঘা জমি রয়েছে। যার কারণে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বাগেরহাটের জেলা কারাগারের সুপার কামরুল হুদা বলেন, স্থানীয়দের হাটার জন্য তিনফুট জমি ছেড়ে আমাদের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী অন্যপাশের জমির মালিকও তিনফুট ছেড়ে ভবন নির্মান করবেন। কিন্তু মিঠু তরফদার ভবন ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মানের ক্ষেত্রে কোন জমি রাখেননি। তারপরও তিনি দুইতলা ভবন নির্মান করেছে। যার ফলে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মিঠু তরফদার যখন ভবন নির্মান করে তখন তাকে মৌখিকভাবে জেমি রেখে ভবন নির্মান করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আমাদের নিশেধ শোনেননি। ভবনের বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবেও জানিয়েছি।