নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিভিন্ন দোকানে দই ও মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে কেজিতে ৩শ গ্রাম কম দিয়ে। এক কেজি মিষ্টি দাম হাকা হচ্ছে ২শ থেকে ২৮০ টাকা করে। আর দই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৩শ টাকা দরে। অথচ দই ও মিষ্টি ওজনে কম দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। দোকানে প্রতি কেজি দইয়ের খালি মাটির বাটির ওজন ৬০০ গ্রাম। খালি বাটির ওজন যদি ৬শ গ্রাম হয়ে থাকে তাহলে বাটিতে দই কতটুকু থাকে। তা কিন্তু আমরা কেউ ভাবি না। এদিকে দই তৈরী করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে। এতে দামে ও ওজনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণ। দই বিক্রির দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় অতিরিক্ত দামে তা বিক্রি করা হচ্ছে।
মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়ে থাকে। কোন কোন ব্যবসায়ীর জরিমানাও করা হয়। কিন্তু লঘু দন্ড বা যৎ সামান্য জরিমানা করার কারণে তারা আবার পরোক্ষণেই ব্যবসা চালু করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটির বাটিসহ এক কেজি দই বিক্রি করা হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করে। ক্রেতা সাধারণ ওই দই অধিক দামে ক্রয় করলেও এক কেজির দইয়ের বিপরীতে পাচ্ছেন ৪০০ গ্রাম দই। অথচ দোকানীরা মাটির বাটিসহ ১ কেজির মূল্য আদায় করে নিচ্ছেন।
শহরের কেউ কেউ নিজের তৈরী করা দই বিক্রি করলেও কজন দোকানি বগুড়া থেকে দই ক্রয় করে চড়া দরে মাটির বাটিসহ দই বিক্রি করছেন।
জহুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, পাহালওয়ান দই ও মিষ্টির দোকানসহ প্রায় সকল দোকানেই কিনে থাকি। কৌতূহল হলো দই রাখা মাটির বাটির ওজন সম্পর্কে। প্রায় ১ কেজি দইয়ের মাটির বাটির ওজন করে দেখি ৬০০ গ্রাম। দই দোকানীদের বললাম মাটির বাটিসহ ১ কেজি বলে দই বিক্রি করাটা প্রতারণা। উত্তরে দোকানি বলেন, মন চাইলে নেন নচেৎ যেতে পারেন।
একই অবস্থা মিষ্টির বেলাতেও। যে প্যাকেটে মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে সেই প্যাকেটের ওজন ১০০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম। এক কেজি মিষ্টি কিনলে পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম মিষ্টি। অথচ দোকানিরা ১ কেজি মিষ্টি বিক্রি করছেন ২০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। এ কারণে ক্রেতা সাধারণ প্রতারণার শিকার হলেও আঙুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন দই ও মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাহালওয়ান হোটেলের মালিক সখেন ঘোষ জানান আমরা এভাবেই বিক্রি করি। যার কেনার ইচ্ছে আছে কিনবে, না কিনলে জোর নেই। ওজনে কম দিয়ে দই মিষ্টি বিক্রি করছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভয়ের কিছু দেখি না।
উপজেলা স্যানিটরি ইন্সপেক্টর সহিদ হোসেন আলতাব জানান, আমাদের তারা তোয়াক্কাই করেন না। কিছুকিছু নেতা ওই হোটেল মালিকের বন্ধু। আমাদের উল্টো হুমকি দিয়ে দেন। ওজনে কম দেয়াসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি বা দই তৈরি করলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে করার কিছুই থাকে না।
তবে ওই স্যানেটরি আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধেও নাবান অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি তার দায়িত্ব পালনে তেমন একটা সচেতন না। ফলে শহরে অনেক ব্যবসায়ি ভেজালে জড়িয়ে পড়েছে।