খুলনার পাইকগাছায় শ্বশুর-বৌমাকে মাথা ফাঁটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বীজতলায় ধান ফেলানো নিয়ে শনিবার বিকেলে উপজেলার গড়ইখালী ইউপি'র দক্ষিণ কুমখালীতে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন দঃ কুমখালীর একই পরিবারের শ্বশুর পরিমল বৈদ্য (৬৫) ছেলে চন্দন বৈদ্যের স্ত্রী বাসন্তী বৈদ্য (৩৫)। এদের মাথাসহ হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহত পরিমল বৈদ্য বলেন, ১৯৮০ সালে কুমখালী বিলে ১৪০ খতিয়ানের সাড়ে ১২ বিঘা জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে রয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি এ জমির স্বত্ত্ব নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য যমুনা বৈদ্যের পরিবারের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। যা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এমনকি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তিনি আরোও জানান, চলতি আমন মৌসুমে শনিবার বিকেলে শ্রমিক নিয়ে জমিতে বীজতলায় ধান ফেলতে যাই। বীজতলায় যাওয়া মাত্রই প্রতিপক্ষরা অবান্তর ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে রাম বৈদ্যর ছেলে সুজিত ও স্বরজিৎ সহ বিশ্বজিৎ, প্রমিত, শুশান্ত, সুকেশ বৈদ্য গংরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রে হামলা চালায়। প্রতিপক্ষদের হামলা ও মারপিটে পরিমল বৈদ্যর মাথা ফেটে জখম হয়। তার শরীরের অন্য স্থানেও রক্তপাত হয়। ঘটনার সময় শ্বশুরকে ঠেকাতে আসলে প্রতিপক্ষদের আঘাতে বৌমা বাসন্তীর মাথা ফেটে জখম হয়। একই সাথে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত দু'জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আ. ছালাম কেরু বলেন, জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে বীজতলায় ধান ফেলানো নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। থানা ওসি মো জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্যাম্প পুলিশের মাধ্যমে মারপিটের খবর পেয়েছি। আহতদের চিকিৎসা চলছে। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।