মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একজন হিন্দু সাধকের কবের পবিত্র মক্কা শরীফ ও কালিমা খচিত একটি গিলাব ব্যবহার করার খবর ছড়িয়ে পড়লে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মনে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেলে অপসারণ করা হয় গিলাবটি।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, হিন্দু সাধক শশীভূষণ দত্ত যিনি স্থানীয়ভাবে বিষ্ণা পাগলা নামে পরিচিত ছিলেন। মারা যাওয়ার পরে তাকে শেষকৃত্য করে বালুয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি জায়গায় সমাহিত করা হয় এবং সেখানে একটি মাজারের মত স্থাপনা নির্মাণ করে স্থানীয় লোকজন। তবে সম্প্রতি স্থানীয় লোকজন খেয়াল করেন তার কবরের উপরে মক্কা শরীফ এবং কালেমা খোদাই করা একটি গিলাব ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় মাধ্যম থেকে খবর পেয়ে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল আজ সকালে ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে বিষয়টি গজারিয়া থানা পুলিশকে জানান। এদিকে এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় স্থানীয় মুসলমানদের মনে। তবে যথা সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায় অপ্রীতিকর কোন কিছু ঘটেনি।
এ সময় আশেপাশের কয়েকটি মসজিদের ইমাম সাহেবদের ডেকে আনা হয়। তারা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি ইসলাম এবং মুসলমানের উপর আঘাত উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে তারা গিলাবটি অপসারণ এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
বিষয়টির সম্পর্কে গজারিয়া থানার এসআই সিকান্দার আলী বলেন, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আলেম-ওলামাদের পরামর্শ অনুযায়ী কয়েকজন ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে গিলাবটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে কারা জড়িত এবং তাদের উদ্দেশ্য কি তা জানতে বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জনগণকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।
এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জুয়েলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তবে বিষয়টাকে ইস্যু বানিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা না করে জনগণকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।