নড়াইলে লোহাগড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুপিয়ে হাতের চারটি আঙুল কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভূক্তভোগীর পরিবারসহ গ্রামবাসীরা জানায়, শালনগর ইউনিয়নের পারশালনগর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমান টুকু মিয়ার ছেলে সাউদ মিয়ার(২৭) সাথে শালনগর গ্রামের মৃত ধীরেন রায়ের ছেলে গোপাল রায়ের গ্রাম্য দলাদলী নিয়ে বিরোধ চলছিল। জখমী যুবকের চাচার (ছত্তার মিয়া) নিজ জমির কাটা পাট গত ৪ আগস্ট চুরি করে নিয়ে গোপাল রায় পানিতে নিজ পাটের মধ্যে জাগ দিচ্ছিলেন। পাট চুরির বিষয়টি ভাতিজা সাউদ মিয়া দেখে ফেলেন এবং প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে সাউদ মিয়া ও গোপাল রায়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সাউদ মিয়া মাঠে যাচ্ছিলেন। কথাকাটাকাটির জের ধরে পথিমধ্যে পারশালনগর গ্রামের বাবু কাজীর ইটের ভাটার পশ্চিম পাশের্^ পায়ে চলা রাস্তার উপর পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শালনগর গ্রামের গোপাল রায়ের নেতৃত্বে গনেশ রায়, সজীব রায়, বিজয় রায়, সহ আরো ২/৩ জনে ছ্যানদা, লাঠি, হাসুয়া, লোহার রড, হাতুড়ী নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে সাউদ মিয়াকে জখম করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের কোপে সাউদ মিয়ার বাম হাতের বৃদ্ধা আঙুল বাদে অপর চারটি আঙুল সম্পর্ণরুপে হাড় থেকে আলাদা হয়ে চামড়ার সাথে ঝুঁলে যায়। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন সাউদ মিয়াকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে এবং সর্বশেষ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জখমীর ভাই মোঃ আজিম ইসলাম বাদী হয়ে ৯ আগস্ট লোহাগড়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১০/১৫৩।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন জানান, এ ঘটনায় ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্যের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।