রংপুরের পীরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত মামলার প্রধান সাক্ষীর বিরুদ্ধে বাদীনির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় আসামি হয়ে এখন জেল-হাজতে। টাকা লেনদেনের বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ঈর্ষান্বিত হয়ে ওই মামলা করা হয়েছে মর্মে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছেন। মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের বাঁশপুকুরিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুল সামাদ মিয়ার ছেলে আবদুর রাজ্জাক মিয়ার (৩৫) সঙ্গে পার্শ¦বর্তী দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার কড়াইবাড়ী গ্রামের মৃত উপদাস চন্দ্রের কন্যা শ্রীমতি সাধনা রাণী (৩০) ও তার পরিবারের জমি-জমা ও অর্থ লেনদেনকে কেন্দ্র করে সখ্যতা গড়ে উঠে। ২০১৯ সালের ২০ মার্চ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাধনা রাণী ৮জন গ্রামবাসীর নামে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (৬ নবাবগঞ্জ) দিনাজপুর-এ একটি মামলা করেন। ওই মামলার ১নং সাক্ষী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক। টাকা লেনদেনের বিষয়কে কেন্দ্র করে একসময় আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাধনা রাণী ও তার পরিবারের মনোমালিন্য ও দূরত্ব বাড়তে থাকে। এ ব্যাপারে একাধিক গ্রাম্য সালিশও হয়। পাওনা টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে সাধনা রাণী আবদুর রাজ্জাককে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী ২০২২ইং সালের ১৬ জানুয়ারী বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষনের মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দাখিল করেন এবং স্বাক্ষী হিসেবে সাধনা রানীর পুর্বের করা মামলার ১ নং ও ৩ নং আসামি বিপ্লব চন্দ্র ও লালন চন্দ্রকে এই মামলায় স্বাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেন। মামলা রুজু হবার পর পুলিশ আবদুর রাজ্জাককে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কড়াইবাড়ী গ্রামের একাধিক নারী-পুরুষ জানায়, সাধনা রাণী একজন মামলাবাজ প্রকৃতির মহিলা। সে মূলত ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। মাঝে মধ্যে গ্রামে এসে এমন অপকীর্তি করছেন। এরআগে স্বামীর বিরুদ্ধেও মামলা করতে দ্বিধা করেননি সাধনা রানী। এ ব্যাপারে সাধনা রাণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।