নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে অনিবন্ধিত একটি ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোস্তফা জামান কাওসার (৪০) কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায় ওই লম্পট শিক্ষক একজন চরিত্রহীন। তার এমন ঘটনা পুর্বেও ঘটেছিল। স্ত্রী সন্তান থাকার পরও সে এমন কাজে লিপ্ত হয় একের পর এক।গ
গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় তাকে নতুন বাবুপাড়ার জনতা আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মোস্তফা জামান কাওসার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দ মাঝাপাড়া গ্রামের মরহুম আতাহার আলীর ছেলে। সে সৈয়দপুর আল ফারুক একাডেমিতে চাকুরী করতো। পরে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে নিজের বাবার নামে শহরের নতুন বাবুপাড়ায় সরকারী অনুমতি ছাড়াই মাওলানা আতাহার আলী রেসিডেন্সিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা খোলেন এবং ওই মাদ্রাসার নিজেই অধ্যক্ষ সাজেন।
জানা যায়, ওই ছাত্রী ও তার পাঁচ সহপাঠী এক শিক্ষিকার সাথে মাদরাসার তয় তলায় আবাসিক রুমে থেকে পড়ালেখা করেন। একই তলায় মোস্তফা জামান তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। শিক্ষিকা ও তার এক সহপাঠী বাড়িতে চলে যাওয়ায় শনিবার রাতে ওই ছাত্রী ও তার তিন সহপাঠী অফিসরুমে ঘুমাবে এমন সময় মোস্তফা জামান রুমে প্রবেশ করে মেয়েটিকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে তার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। পরের দিন এ ঘটনা মেয়েটি তার মাকে জানায়। এরপর মেয়েকে নিতে মা মাদরাসায় যান। পরে বিষয়টি এলাকার লোকজনের কাছে জানাজানি হলে মাদরাসার আশেপাশের মানুষ পরিচালক মোস্তফা জামান কাওসাারকে আটক করে।
আটকের পর সেখানে কয়েক লাখ টাকায় ঘটনাটি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা চালায় কতিপয় দালাল। এ অবস্থায় থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ মাদরাসা থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে মেয়ের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন আর মেয়েটিকে সাপোর্ট সেন্টারে নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মোস্তফা জামান কাওসারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।