রংপুরের পীরগঞ্জে দীর্ঘ ৫মাস ১১দিন পর সিআইডি পুলিশ কর্তৃক কবর থেকে মাহবুবুর রহমান মাস্টার (৬০) নামের এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। সে উপজেলার দাড়িকাপাড়া গ্রামের মৃত-বদিউজ্জামানের পুত্র। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর মোহাম্মদ আবু কামা তমালের উপস্থিতিতে ওই লাশ উত্তোলন করা হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,চলতি বছরের ৫ মার্চ বিকেলে মাহবুবুর রহমান মাস্টার নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দাড়িকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বাড়ি ফেরার পথে পার্শ্ববর্তী ধনশালা গ্রামের মতিয়ার রহমানের পুত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান (২২) উদ্দেশ্যমুলক মোটরসাইল দিয়ে ধাক্কা ও চাপা দেয়। এতে তিনি মারাতœক আহত হন। আশংকাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে পরদিন সে মারা যায়। ওই সময় লাশের ময়না তদন্ত না করে লাশ দাফন করায় তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বাদী হয় বিজ্ঞ আদালতে একটি সিআর মামলা করেন। মামলা নং-১১১/২২ তারিখ ২০/৩/২২ ইং। এতে বাদী উল্লেখ করেন-জমি নিয়ে পুর্ব শত্রুতা বশতঃ দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম এর নির্দেশেই বর্নিত স্থানে আব্দুল্লাহ আল নোমান সুপরিকল্পিতভাবে মোটর সাইকেল যোগে ধাক্কা দেয়। এতে মাহবুব মাস্টারের অন্ডকোষ ফেটে যায়। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার ফাহিম উদ্দিন কাকন কোন চিকিৎসা না করেই সাধারন রোগীর মতো এখানেই ফেলে রাখেন। এভাবে একপ্রকার অবহেলা ও উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবেই মাহবুব মাস্টার পরদিন মারা য়ায়। পীরগঞ্জ খানা কর্তৃপক্ষও ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন না করেই লাশ দাফনের অনুমতি দেন। এসব কারণে বিতর্কিত ওই মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার কবর হতে লাশ উত্তোলন ও ময়না তদন্তের জন্য লাশ রংপুর মর্গে প্রেরন করা হয়।