জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। চাটমোহরের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করার কথা। কিন্তু উপজেলার কৃমারগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপনের পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী নিয়ে তামাশা করেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মুকিতুন নাহার। তিনি তার সহকর্মীদের নিয়ে নিমগাছের ডাল কেটে এনে তা মাটিতে পুঁতে ফটোসেশন করে ফেসবুকে দিয়েছেন। সেই ছবি জমা দেওয়া হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসেও। বিষয়টি জানেন না বিদ্যলয়ের সভাপতি,সহ-সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও। ফেসবুকে দেওয়ার পর ব্যাপারটি জানাজানি হয়। গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) গাছের ডাল পুঁতে ফটোসেশন করা ছাড়াও প্রকৃতিগতভাবে স্কুলের পশ্চিম পাশে জঙ্গলের ভেতর বেড়ে ওঠা একটি তাল গাছ ধরেও ছবি উঠেছের এই প্রধান শিক্ষিকা। জানাজানি হওয়ার পর গত সোমবার (১৫ আগস্ট) নিমগাছের মরা ডালটি তুলে ফেলা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন জানান,এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। প্রধান শিক্ষিকা নিজেই সবকিছু করেছেন। একই কথা বললেন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ শাহ আলম। তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক ইচ্ছেমতো সব করেন। গাছ লাগানোর নাটকও তিনি করেছেন। গাছ না লাগিয়েই গাছ লাগানোর ছবি তুলেছেন।
এ ব্যাপরটি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী জানার পর প্রধান শিক্ষিকাসহ দোষিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্লা জানান,গাছ লাগানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষিকা কিছুই জানায়নি।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মুকিতুন নাহার বলেন,এটা জাতীয় শোক দিবসে করা হয়নি। আমি পরে বৃক্ষরোপন করবো সবাইকে নিয়ে। গাছের ডাল লাগিয়ে ছবি তোলা ভুল হয়েছে। তিনি পত্রিকায় বিষয়টি না লেখার জন্য বারবার বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ষভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম বললেন,এটা জাতির পিতার প্রতি চরম অবমাননা। সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষিকা। আমি ওই প্রধান শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান বললেন,এ ব্যাপারে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি দ্রুতই ব্যবস্থা নেবো।