আশাশুনিতে ভারতীয় রুপি স্বল্পমূল্যে বিক্রয়ের নামে প্রতারণা করে পালানোর সময় হাতেনাতে এক প্রতারক জনতার হাতে আটক হয়েছে। বুধবার (১৭ আগষ্ট) বেলা ১১.৩০ টার দিকে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান গাজীর ছেলে কাজল গাজী দীর্ঘদিন ধরে ডলার/রুপি স্বল্পমূল্যে বিক্রয়ের নামে প্রতারনা করে আসছিল। এরই অংশ হিসাবে সে শ্যামনগর উপজেলার সোনা মুদারী গ্রামের বিনয় কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে স্বপন কুমার মন্ডলের সাথে (লোড ব্যবসায়ী নূরনগর বাজার) যোগাযোগ করে ভারতীয় রুপি স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করার প্রলোভন দেখায়। স্বপন মন্ডল সরল মনে বুধবার সকালে প্রতাপনগরে গিয়ে প্রতারক কাজলের কাছে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। কাজল কয়েকটি জুসের প্যাকেট কাগজে জড়িয়ে দু’মাথায় শক্ত কাঠ দ্বারা সপোর্ট রেখে সুন্দর করে বেধে রুপির বান্ডেল হিসাবে চাউলের মধ্যে রাখা অবস্থায় একটি প্যাকেট স্বপনের হাতে তুলে দেয়। এবং কেউ বুঝতে না পারে তার জন্য এখানে রুপি গননা করা যাবেনা, শ্যামনগরে গিয়ে গুনে টাকা বুঝ করে দেয়া হবে বলে ভুল বুঝিয়ে তাকে সাথে নিয়ে সেখান থেকে বের হয়। একপর্যায়ে কাজল সুযোগ বুঝে মোটর সাইকেলে দ্রুত পালাতে থাকে। স্বপন বুঝতে পেরে তার পিছু নেয় এবং বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা খোলারমাঠ এলাকায় পৌছলে মোটর সাইকেল থামাতে সক্ষম হন। তখন কাজল মোটর সাইকেল থেকে দ্রুত নেমে বিলের মধ্যে ছুটে পালাতে থাকে। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার অসংখ্য মানুষ পিছু নিয়ে বিলের মধ্যে তাকে আটক করে। এ সময় জনতা তার কাছ থেকে ৩৮ হাজার ৫ শত টাকা ও ৪০০ টাকার ভারতীয় রুপি উদ্ধার হয়। বাকী টাকা নিয়ে মোটর সাইকেল চালক দ্রুত কেটে পড়ে। বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা ঘটনাস্থলে পৌছে প্রতারক কাজলকে গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। থানা পুলিশ খবর পেয়ে পরিষদে উপস্থিত হলে উদ্ধারকৃত টাকা, রুপি, একটি মোবাইলসহ আটককৃত কাজল ও প্রতারনার শিকার স্বপনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ওসি মমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃত কাজল ও প্রতারনার শিকার স্বপনকে থানায় আনা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।