পুঠিয়ায় উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিসে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রকল্পের (এনএটিপি) অনিয়ম দুর্নীতি ও গাফলতির অভিযোগ উঠেছে। কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে প্রকল্পের সকল কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। এলাকার পশুপালন খামারিদের ভাষ্য,প্রতিবছর সরকার এনএটিপি প্রকল্পের জন্য মোট অংকের টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। কিন্তু তা সঠিকভাবে খামারি এবং সাধারণ পশুপালনকারিরা ব্যক্তিগন ভাবে উপকৃত হচ্ছে না। উপকৃত হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ১৮টি এনএটিপি প্রকল্পের কার্যক্রম চালু রয়েছে। প্রকল্পের কার্যক্রম অনুযায়ী,উপজেলায় প্রতিটি গবাদী পশু,হাঁসমুরগিকে কৃশিনাষক ওষুধ খাওয়াতে হবে,ভ্যাকসিন দিতে হবে, পুষ্টি খাদ্য বিতারণ করতে হবে, এবং ট্রেনিং এবং প্রর্দশনী ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিস খাতা কলমে ঠিক রেখে প্রকল্পের টাকা কর্মকর্তারা মিলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। কিছু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছে, এনএটিপির কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। সঠিকভাবে তদন্ত করলে এর সব রহস্য জানা যাবে। খামারিদের অভিযোগ, কৃমিনাষক ওষুধ, সরকারিভাবে গবাদী পশু, হাঁসমুরগি পালনকারিদের নিকট কোনো দিনই দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে এনে, সামান্য পরিমাণে সাধারণ মানুষদের মাঝে বিতারণ করা হয়ে থাকে। এনএটিপি প্রকল্প বরাদ্দ হতে গবাদী পশু পুষ্টিকর খাদ্য বিতারণ, গবাদী পশু,হাঁসমুরগি পালন করার বিষয়ে প্রর্দশীয়, ট্রেনিং করানোর বার্ষরিক বরাদ্দ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক কর্মচারী বলেন, প্রকল্পের টাকা প্রতিবছর বরাদ্দ হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের স্যারেরা খাতা কলমে ঠিক রেখে, প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি যারা জড়িত তাদেরকে নিয়ে অনিয়ম দুনীর্তি করে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। আবুল কাশেম নামের সাধারণ মুরগি পালনকারিদের অভিযোগ, সরকারি টাকার বরাদ্দের ভ্যাকসিন কর্মকর্তারা অনিয়ম দুর্নীতি করে খামারীদের কাছে গোপনে বিক্রি করে দেয়। বিশেষ করে, মুরগির রানীক্ষেত, কলেরা রোগ প্রতিরোধের ভ্যাকসিনগুলি সাধারণ মানুষরা পায় না। উপজেলার একাধিক খামার ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রানিসম্পদ অফিসের প্রজনন কর্মকর্তা সাধারণ মানুষের নিকট বেশি টাকা নিয়ে গরুর প্রজনন করার অভিযোগ রয়েছে। উপজেল প্রানিসম্পদ অফিসের পশুর চিকিৎসা করতে কেউ আসলে,বিভিন্ন অজুহাত দেখায়ে বাড়ি পাঠায়ে দেওয়া হয়। পরে ব্যক্তিগত ভাবে চিকিৎসা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিসে গেলে দেখা যায়, অফিসের ভেতর উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা মোছা জান্নাতুল ফেরদৌস তার সন্তাকে খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ভ্যাকসিন রেজিঃ দেখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা নিজ কক্ষে পত্রিকা পড়া নিয়ে ব্যস্ত আছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ গবাদি পশুর রোগ নিয়ে এসেছেন। মকছেদ আলি বলেন, অফিসে আসলে ওষুধ লিখে দেয় ডাক্তারা। তখন বাধ্য হয়ে পশুকে বাঁচানো জন্য বাহির থেকে ওষুধ কিনে খাওয়াতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা মোছা জান্নাতুল ফেরদৌস যুগান্তরকে বলেন, আমি উর্ধতর কর্মতর্কার অনুমতি ছাড়া আপনাকে কোনো তথ্য দিতে পাড়বো না। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এনএটিপি কোনো বরাদ্দ আমি পায়নি।