আশাশুনি উপজেলার কাটাকাটি ইউনিয়নের ব্রহ্মণ তেঁতুলিয়ায় সরকারি জলমহল অবৈধ ও জবরদখল করে নেটপাটা ও ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লিখিত অভিযোগে জানাগছে, বৃহস্পতিবার সকালে কাদাকাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন গং সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নেটপটা দিয়ে জলমহল জবরদখলে নিয়ে ঘর নির্মাণ করছে। ইজারা গ্রহিতা বড়দল শিববাড়ি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মুকুন্দ চন্দ্র মন্ডল জানান, ৮৮ নং মিত্র তেঁতুলিয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ৪৬৪ দাগের ৭.০৭ একর জমি বাংলা ১৪২৯ সাল থেকে ১৪৩১ সাল পর্যন্ত তিনি ইজারা নিয়েছেন। জাহাঙ্গীর গং খালটি জবরদখল করতে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। এ ব্যাপারে ৮ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা জলমহল কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল কুদ্দুসকে ইজারা গ্রহিতাদের দখল বুঝে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) উভয় পাক্ষকে ১৭ আগস্ট সকাল ১০টায় তার কার্যালয়ে আসতে নোটিশ করেন। কিন্তু জাহাঙ্গীর গং হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করে বৃহস্পতিবার সকালে লোকজন নিয়ে খালে নেটপাটা দিয়ে ঘর নির্মাণ করতে থাকে। মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব রফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, জালাইয়ের খালটি এর আগে যারা ইজারা গ্রহণ করেছিল তাদের সঙ্গে যোগসাজসে সাড়ে তিন একর জমি জবর দখল করে নিয়েছে। শুনেছি এবছরও সম্পূর্ণ জবরদখল করে নেট পাঠা ও ঘর নির্মাণ করছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বেআইনিভাবে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।