অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দূর্বলের অধিকার প্রতিষ্টা ও পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্টা করতেই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হন বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। শান্তি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চল থেকে অশুভ শক্তি বিনাশে সকল সম্প্রদায়কে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ দুষ্টকে দমন করে সৃষ্টকে পালন করেছিলেন, ঠিক তেমনি করে পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়কে এক হয়ে পার্বত্যাঞ্চল থেকে অশুভ শক্তিকে দূর করে শুভ শক্তির আর্বিভাব ঘটাতে হবে। তাই অশুভ শক্তি বিনাশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাঙ্গামাটি শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে রাঙ্গামাটি সনাতনী সমাজের উদ্যোগে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও শহরে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এসএম ফেরদৌস ইসলাম, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সহকারী ম্যাজিষ্টেট বিজন কুমার জোয়ার্দার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙ্গামাটির সভাপতি অমর কুমার দে, জম্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কান্তি মহাজন, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সমন্বয়কারী বাবলা মিত্রসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ধর্মীয় আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, পৃথিবীতে যখন অত্যাচারী বেড়ে যায় তখন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই পৃথিবীতে আবির্ভূত। তেমনি আমাদের দেশের জঙ্গীবাদ ও এদের দোসরদের দমনে বর্তমান সরকার আবির্ভূত হয়েছে। তাই এইসব পাপি ও অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থেকে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
পরে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা রাঙ্গামাটি শাহ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন মন্দির থেকে ঢাকঢোলসহ শত শত নারী-পুরুষ এতে অংশ নেন। এতে প্রায় আধা কিলোমিটার ব্যাপী এ শোভাযাত্রা দীর্ঘ ছিল।