উত্তাল নদণ্ডনদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার ও তীব্র স্রােতের কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসাথে ১৮টি স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। যদিও ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পাউবোর প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, বুখাইনগর নদী সংলগ্ন বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের তিনশ’ মিটার এলাকা ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া বাকেরগঞ্জ উপজেলার কারখানা নদী তীরবর্তী ফরিদপুর ইউনিয়নের চর রঘূনদ্দি এলাকায় দুইশ’ মিটার, হিজলার হরিনাথপুর এলাকার একশ’ মিটার, কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন পামেরহাটে ১৮০ মিটার, পশ্চিম চরকাউয়ায় ৮০মিটার, বুখাইনগর নদীর লাহারহাট বাজার এলাকার ১৩০ মিটার, সাহেবেরহাট বাজার এলাকার একশ’ মিটার, বিঘাই নদী সংলগ্ন নতুনহাট বাজার এলাকার ৬৫ মিটার, মেঘনা নদী সংলগ্ন হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকার তিনশ’ মিটার, হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একশ’ মিটার, কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন চরবাড়িয়া এলাকায় ২২০ মিটার, লামছড়ি এলাকার ১৫০ মিটার, আড়িয়াল খাঁ নদী সংলগ্ন সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদের কামাড়পাড়া এলাকার ২৫০ মিটার, চারঘাট এলাকার ১৩৯ মিটার, মিস্ত্রিবাড়ি এলাকার ১২৩মিটার, মৃধাবাড়ি এলাকার ১৩০ মিটার ও হারুন হাওলাদার বাড়ির এলাকার ১২৮ মিটার নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে মোট ১৮টি স্থানে ২ দশমিক ৬৯৫ কিলোমিটার এলাকা নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পাউবো’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
অপরদিকে উজিররপুরের হারতা ইউনিয়নের নাথারকান্দিতে ২০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া একই এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫ মিটার, কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন চরবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লামছরি এলাকায় ২৩০ মিটার, বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশীবপুরের ১১ স্থানের ১৬০ মিটার ও রগুনাথপুর এলাকার ১২ স্থানে ১৯০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পরেছে।
বরিশাল পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রাকিব হোসেন বলেন, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কারণে বরিশালের নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার ও স্রােতের সৃষ্টি হয়। ফলে বাঁধের ২৫ স্থানে ৫৮০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১৮টি স্থানে ২ দশমিক ৬৯৫ কিলোমিটার এলাকা নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো সংস্কারের কাজ শুরু করেছি, তাছাড়া ভাঙন এলাকাগুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।