ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শোক দিবসের খাবার নিয়ে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ১১নং রাখালগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাখালগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর খাবার বিতরণ চলছিল। এ সময় নরদহি গ্রামের ইরাদ হোসেন খাবার বিতরণ করছিলেন। হঠাৎ দরবেশ আলী নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা খাবারের হাড়ি নিয়ে চলে আসতে চায়। এ নিয়ে ইরাদ হোসেন দরবেশ আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে রঘুনাথপুর এলাকার মিরাজ হোসেন ইরাদ হোসেনকে মারধর করেন। এ সময় মারামারি ঠেকাতে গেলে ইরাদ আলীর চাচাতো ভাই টনিকেও মারধর করা হয়। পরে কয়েকজন যুবক মিরাজ হোসেনকে মারধর করেন।
ইরাদ হোসেন জানান, খিচুড়ি বিতরণ নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। এর বেশি কিছু না। পরে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে।
টনি হোসেন জানান, চাচাতো ভাই ইরাদ হোসেনকে ঠেকাতে গিয়ে তিনি নিজেও মারধরের শিকার হয়েছেন। রঘুনাথপুর গ্রামের মিরাজ হোসেন প্রথমে মারধর শুরু করেন।
এ বিষয়ে রাখালগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টু জানান, শোক দিবসের খাবার বিতরণ নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরে দু’পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করা হয়েছে।