কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেরিয়া ইউনিয়নের চেহরিয়া গ্রামে জগৎ চন্দ্র দাসের অত্যাচার ও জুলুমে অতিষ্ঠ শতাধিক কৃষক। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কৃষকরা নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার এ অভিযোগের তদন্ত করেন উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চেহরিয়া গ্রামের জগৎ চন্দ্র দাস সংখ্যালঘু হওয়ার সুযোগে ওই গ্রামের শতাধিক মুসলিম কৃষক পরিবারের উপর দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যাচার ও জুলুম করে আসছে। তার নির্যাতন সইতে না পেরে কেউ প্রতিবাদ করলেই সে নিজেকে সংখ্যালঘু পরিচয় দিয়ে গ্রামবাসীকে পুলিশি হয়রানি করে আসছে। তার অত্যাচার সইতে না পেরে গত ৮ আগস্ট চেহরিয়া গ্রামের অর্ধশত কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দায়ের করা হয়। লিখিত অভিযোগে জানা যায় বিভিন্ন সময়ে কৃষি জমি চাষের জন্য জগৎ চন্দ্র দাসের জমির উপর দিয়ে ট্রাক্ট্রর যেতে বাধা দেয়ায় কৃষকদের জমিন গুলো অনাবাদি পড়ে থাকে। সর্বশেষ গত ১৫দিন পূর্বে স্থানীয় কয়েক জন কৃষকের জমি চাষ দেয়ার জন্য জগৎ চন্দ্র দাসের একটি জমির কোণ ব্যাবহার করায় তিনি ওই ট্রাক্ট্ররের চাবি নিয়ে যায় এবং তাদেরকে গালমন্দ করতে থাকে। এ সময় ট্রাক্ট্রর চালক উপজেলার কাদবা গ্রামের আবুল কালাম প্রতিবাদ করায় তাকে মারপিটের চেষ্টা করে জগৎ চন্দ্র দাস। পরে তিনি ওই কৃষক ও ট্রাক্ট্রর চালকের বিরুদ্ধে নিজেকে সংখ্যালগু পরিচয় দিয়ে তার বাড়ী জ্বালিয়ে দিচ্ছে মর্মে নাঙ্গলকোট থানায় ফোন করে, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জগৎ চন্দ্র দাসের অত্যাচার ও জুলুম বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার শ্রীবাস চন্দ্র দাস ও উপসহকারী কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, কৃষকদের অভিযোগে উল্লিখিত চাষের ট্রাক্ট্রর চলাচলে বাধা দেয়া ও চাবি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত জগৎ চন্দ্র দাস স্বীকার করেছে। তবে তদন্ত চলাকালে জগৎ চন্দ্র দাস দাবী করেন ট্রাক্ট্রর চলাচলে তার আগাম রোপন করা আমন ধানের চারার অনেক ক্ষতি হয়েছে, পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি ট্রক্ট্রর যাওয়ার সময় জগৎ চন্দ্র দাসের ১০-১৫ গোচা ধানের চারা কৃষকরা উঠেয়ে রাখে এবং পরে জমিন চাষ শেষে পুনঃরায় রোপন করে দেয়।