রাজশাহীর দুর্গাপুরে অষ্টম শ্রেনি পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে পন্ড করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।
এ সময় বাল্যবিয়ে দিতে সহযোগিতা করার দায়ে কনের নানার ৬মাসের কারাদ- ও স্থানীয় এক ইউপি সদস্যেসহ তিনজনের ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার (২০ আগষ্ট) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
থানার পুলিশ জানায়, শনিবার উপজেলার বেড়া গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে রায়হান ইসলাম (২৮) সঙ্গে পাশ্ববর্তী বর্দ্ধণপুর গ্রামের ১৪ বছর বয়সের এক স্কুলছাত্রীর ধুমধাম করে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা কনে ও বরের বাড়ি বেড়া ও বর্দ্ধণপুর গ্রামে অভিযান চালায়।
এ সময় বাল্যবিয়ে দিতে সহযোগিতা করায় এক ইউপি সদস্যসহ ৫জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো-উপজেলার বেড়া গ্রামের ইউপি সদস্যে তামেজ উদ্দিন, কনের নানা পুঠিয়া ভাল্লুকগাছী গ্রামের কাবিল উদ্দিন, একই গ্রামের মেহেদী হাসান, আতাব আলী ও নাটোর বড়ইগ্রাম উপজেলার লক্ষীকূল গ্রামের আকবর হোসেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বাল্যবিয়ে দিতে সহযোগিতা করার অপরাধে কনের নানা কাবিল উদ্দিনের ৬ মাসের কারাদ- ও ইউপি সদস্য তামেজ উদ্দিনের ৩০ হাজার এবং আতাব, মেহদী, আকবরের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।
এদিকে ইউপি সদস্য তামেজ উদ্দিন সহ আরো তিনজন ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদন্ড দিয়ে ছাড়া পেলেও কনের নানা কাবিল উদ্দিনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে দেয়ার ঘটনায় নানাকে ৬মাসের কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কনের নানা কাবিল হোসেনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।