রংপুরের পীরগঞ্জে একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ মোটা অংকের বানিজ্য করেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নে একটি বাড়ী থেকে পুলিশ গাড়ীটি উদ্ধার করলেও উদ্দেশ্যমুলক ঘটনাস্থল অন্যত্র দেখানো হয়েছে। জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই দুপুরে উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের আবদুস সালাম মিয়ার লাল কালো রংয়ের ১৩৫ সিসি (নম্বর - রংপুর- ল- ১২-১৬৭৯) বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল বাবনপুর মাদ্রাসা থেকে চুরি যায়। ৩ আগস্ট পীরগঞ্জ থানায় মোটরসাইকেল চুরির মামলা হয়। মামলার সুত্র ধরে ইউনিয়নটির বীট পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই গোলজার হোসেন কয়েকদিন আগে রাতে উপজেলার বাঁশপুকুরিয়া গ্রামের ধলু মিয়ার বাড়ি থেকে লাল কালো রংয়ের ১৩৫ সিসি বাজাজ ডিসকভার মোটর সাইকেল উদ্ধার করে। পরে ধলু মিয়া মোটরসাইকেলটির মালিকানার কাগজপত্র দিলেও মালিকানার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্রই নেই। এসআই গোলজার হোসেন জানান, খালাশপী হাট থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে মালিকানা যাচাইয়ের জন্য আদালতে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। ওইদিন এসআই সুদীপ্ত শাহীন গাড়ীটি জব্দ করেন। ধলু মিয়া জানায়, কয়েকদিন আগে রাতে পুলিশ আমার বাড়ী থেকে গাড়ীটি নিয়ে গেছে। আমি খালাশপীর হাটের পুরাতন মোটর সাইকেল বিক্রেতা মাহবুব রহমান মাস্টারের দোকান থেকে এটি কিনেছি। মাহবুব মাস্টার মোবাইলে বলেন- বড় আলমপুরের হায়দার আলীর কাছ থেকে কয়েকদিন আগে মোটরসাইকেলটি কিনেছি। অথচ হায়দার আলী বলছেন- তিনি কারো কাছে মোটর সাইকেল বিক্রি করেননি। ঘটনার পর থেকেই মাহবুব মাস্টার মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ ধলু মিয়া এবং পুরাতন মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মাহাবুব মাস্টারের মাঝে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন হয়েছে। মোটরসাইকেলটি আটক করলেও কেন মালিক কে (বুদু মিয়ার ছেলে) আটক করলেন না, এ প্রশ্নের উত্তরে এসআই গোলজার হোসেন বলেন, আমরা তো বাড়ী থেকে গাড়ীটি আটক করিনি,তাই কাউকে আটক করা হয়নি। পাশাপাশি কাউকে আটক বা গ্রেফতার না করার শর্তে কোন লেন দেন হয়নি। পীরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আউয়াল বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখছি, যার কাছ থেকে গাড়ীটি পাওয়া গেছে,তাকে এবং পুরাতন গাড়ী বিক্রির শোরুমের মালিককে নজরে রেখেছি। সিনিয়র স্যারদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।