বিধবা নিঃসন্তান গীতা ঘোষ। ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়ার চাকরী থেকে ৫ মাস আগে অবসরে গেছেন। ওই বৃদ্ধা বেজপাড়া গ্রামে একটি মাটির ঝুঁপড়ি ঘরে বসবাস করতেন। ব্যাংকে তার পূর্বে জমানো বেশ কিছু টাকা ছিল। সেই টাকা চেয়েছিল তার রক্তের ভাই তরুন ঘোষ। এ টাকা দিতে রাজি হয়নি বিধবা অসহায় গীতা। এরপর তার ভাই ভাবির নির্যাতন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলেও তার ভাবি ঝর্না ঘোষ বেদম মারপিট করে। এরপর ভাইয়ের কাছে নালিশ দেয়ার পর তার ওপর নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। এ নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে ঘরের উপরের বাঁশে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এখন তার স্বজন ও প্রতিবেশীদের ভাষ্য, টাকায় গীতার জীবনে কাল হলো কেননা জমানো টাকার জন্যই তাকে জীবন দিতে হলো। নিহত গীতা ঘোষ উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের হাজারি ঘোষের মেয়ে।গীতার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।
গীতা ঘোষের ভাগ্নে প্রশান্ত ঘোষ জানান, গত এপ্রিল মাসে তার মাসি স্কুলের চাকুরী থেকে অবসরে যান। মাসির ব্যাংকে জমানো টাকা তার মামা মামি নিতে চেয়েছিল। কিন্তু মাসি তাদেরকে টাকা দিতে রাজি হননি। এরপর থেকে তারা মাসির ওপর অমানষিক নির্যাতন চালাতো। ওই টাকার জন্যই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে তারা মনে করছেন। তাকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করেই মারা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবদুর রহিম মোল্লা জানান, ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুনেছি ওই মহিলার একাউন্টে কিছু টাকা আছে। আবার তার সংসারে কোন ঝামেলাও নেই। ফলে বিষয়টি ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।