চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের আলমপুর ও আদর্শগ্রামে ১ শ ৯ পরিবারের মাথা গুজার ঠাই হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মুজিব বর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা সরকার প্রদত্ত উপহার এসব ঘর পেয়েছে। যারা এতদিন প্রায় আশ্রয়হীন ছিল তারা মাথা গুজার ঠাই পেয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছে। তারা শুধু ঘর নয়, পেয়েছে সুপেয় পানীয়জলের সুবিধা, বসবাস করার অনন্য পরিবেশ, এবাদত করার জন্য এবাদতখানা, বিদ্যূৎ সুবিধা, স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার, ছোটদের লেখাপড়ার জন্য বিদ্যলয়ের সুবিধা, নারীদের প্রশিক্ষনের মাধ্যম স্বাবলম্বী করার জন্য প্রশিক্ষন ব্যবস্হা, বিনোদনের জন্য কমিউনিটি সেন্টারসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা। সরকারের নিবাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুসারে গ্রাম হবে শহর, সেই রকমই পরিবেশ। ঘর পেয়ে আনন্দিত অসহায়, হতদরিদ্র ভূমি ও গৃহহীন পরিবার গুলো।
গত ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশের মত এই উপজেলায় নির্মিত ঘর গুলো তালিকাভূক্তদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন প্রধান মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। প্রাকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের ঘনসবুজের মাঝে লাল টিনের ঘর প্রকৃতি ও পর্যটন প্রেমীদের যেন হাতছানি আহ্বান করছে সৌন্দর্য হৃদয় দিয়ে উপভোগ করতে।এ যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লাল সবুজ বাংলাদেশ। প্রধান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগের এই কর্মযজ্ঞের যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক নিরলশ পরিশ্রম করে তদারকি করছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোঃ শাহিদুল আলম।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে হাটহাজারীতে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে প্রথম ধাপে ১৫টি ঘর, দ্বিতীয় ধাপে ১০টি ঘর ও তৃতীয় ধাপের প্রথম পর্যায়ে ২৪টি ঘর এবং তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। এভাবে মাথা গুঁজার নতুন ঠিকানা পেল ১০৯ পরিবার। এসব প্রকল্পে পানি-বিদ্যুৎ সুবিধা,ইবাদত খানা, বিদ্যালয়, নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য কমিউনিটি হল, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্হা, নিরাপদ খাদ্যে জন্য পুস্টি বাগান বাগান করার সুবিধা, থেকে শুরু করে একটি শহরে যেমন সুযোগ-সুবিধা থাকে তার সবই থাকবে। সরকারের প্রতিটি বিভাগ এখানে সমন্বিতভাবে কাজ করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রায়হান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগান নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে ভূমি ও গৃহহীনদের ২ শতাংশ খাসজমিতে আধাপাকা নতুন ঘর দেওয়া হয়েছে। সাথে সাথে তাদেরকে নিজেদের নামে ওই ভূমির মালিকানা কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
হাটহাজারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল হক বলেন, হাটহাজারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্প গুলো চমৎকার লোকেশনে। চারদিকে সবুজ প্রকৃতি ঘেরা। এবার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৬০টি ঘর দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫ শত টাকা খরচে মোট ৬০টি ঘরে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখানে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়েছে। গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। সঙ্গে একটি পুকুর খনন করে দেয়া হয়েছে। পুকুরে মাছ চাষের জন্য মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে।পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ লাগানো হবে। এক কথায় যত ধরনের নাগরিক সুবিধা শহরের মানুষ পায় তা এখানে করা হবে।