মৌলভীবাজারের রাজনগরে বিষ্ণু পদ ধামের অবৈধ কমিটি প্রনীত গঠনতন্ত্র ও সাধারন সভা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত পুজারীবৃন্দ গতকাল ২১ আগস্ট রোববার উপজেলা পরিষদ সম্মুখে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় তারা বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে সবাইকে সম্পৃক্ত করে সকলের গ্রহনযোগ্য একটি উপহার দেওয়ার জন্য দাবী জানান বক্তারা।
ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রজ বিহারী ধর, মৃদুল কান্তি দে, দীপক সোম, পাপলু ধর, নিতাই কর, নিত্তানন্দ, অনিত কুমার শর্মা প্রমুখ।
সোমবারে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে এর একদিন আগে মানববন্ধন কর্মসূচি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে দীপক সোম বলেন সকলকে সম্পৃক্ত করে গ্রহনযোগ্য পূর্নাঙ্গ একটি কমিটি উপহার পেতে জানান দেয়া।
উল্লেখ্য বিষ্ণুপদ ধামের কমিটি গঠন নিয়ে বিবদমান
দুই পক্ষের মাঝে বিরোধ দীর্ঘ দিন থেকে। যানা যায়, সিলেট বিভাগের ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণুপদ ধামের পরিচালনা কমিটি নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে বিরুধ চলে আসছে। ওই সময় গঠিত কমিটির ওপর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। এনিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২১ সালে কয়েকবারের তদন্তে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি সত্য প্রমানিত হয়। এব্যাপরে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কিন্তু এরপরও ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সাধারণ সভা করে ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পরদিনই ওই কমিটি
স্থগিত করে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা পালকে আহ্বায়ক করে ২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। পরবর্তীতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পরামর্শে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত আহ্বায়ক কমিটি কোন পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারায় এবং অদৃশ্য শক্তির বলে পুরনো কমিটি মন্দির পরিচালনা করে আসছে। এসে সনাতন ধর্শালম্বীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বিক্ষুব্ধ সনাতন ধর্মালম্বীদের পাশ কাটিয় সোমবার (২২ আগস্ট) রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে একটি কমিটি গঠনের জন্য দিনক্ষন ঠিক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মানববন্ধনে বলা হয়, সবাইকে নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে মন্দির পরিচালনা কমিটি করা হলে বিষয়টি সুন্দর সমাধান সম্ভব। এক পক্ষকে বাদ দিয়ে কমিটি করা হলে মন্দির পরিচালনার মধ্যে ব্যঘাত সৃষ্টি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে মানববন্ধনে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
এব্যপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাট্রে থেকে আগত একটি চিঠির প্রেক্ষিতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১৫১ সদস্য বিশিষ্টি কমিটির সদস্যদের মতামতে ভিত্তিতে পরিচালনা কমিটি হবে। এর মধ্যে কেউ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন না করে বিগ্ন বা বাধার সৃষ্টি করলে ঘটালে আইনানের মধ্য থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।