জেলার গৌরনদীতে তিনজন যুবদল নেতা ও একজন বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত ও তিনটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের উদ্ধার করে শেবাচিমসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলা বিএনপির সদস্য শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান জানান, সোমবার সকালে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা জাকির শরীফ বরিশালে যাওয়ার পথে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। এ সময় যুব ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে। একইদিন সকালে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাস্টার মনির হোসেন আকনের কাসেমাবাদ গ্রামের বাড়িতে গিয়ে যুব ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে। একইদিন বাবুগঞ্জের আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও যুবদল নেতা আলী শরীফকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এছাড়াও বরিশাল যাওয়ার পথে বাটাজোর এলাকায় বসে সরিকল ইউনিয়ন যুবদল নেতা জসিম উদ্দিনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। অপরদিকে জেলা বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টুর দক্ষিণ পালরদী গ্রামের বাড়িতে এবং যুবদল নেতা রিয়াজ ভূঁইয়া ও বাচ্চু ভূঁইয়ার উত্তর বিজয়পুরস্থ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে।
হামলার সাথে যুব ও ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব আলম বলেন, শুনেছি অভ্যন্তীরন কোন্দলের কারণে বিএনপি নেতাদের নিজেদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।