মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের তালতলা-ডহুরী খালের ফেগুনাসার বিআইডব্লিউটিএ এর কুদ অফিস (নৌ টোল বক্স) সংলগ্ন খালে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে মো. সেলিম (২৬) নামের এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। বেলা ১১ থেকে ডুবুরীদল ঘটনাস্থল খাল থেকে ইছামতি নদীর তালতলা থেকে বেতকা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়, কিন্তু কোন খোঁজ মিলেনি নিখোঁজ সেলিম খানের (২৬)। স্্েরাতের চাপ বেশি থাকায় দুপুর ২ টায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়।
এর আগের দিন রোববার বিকাল সাড়ে ৫ টায় সিরাজদিখান উপজেলার ফেগুনাসার গ্রামের তালতলা-ডহুরী খালে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রলারে থাকা ৫ জনের মধ্যে ৪জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। সাঁতার না জানা মো. সেলিম (২৬) নিখোঁজ হয়। সে সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চম্পকদি গ্রামের সিরাজ খানের ছেলে।
সাঁতরে তীরে উঠা হারুন বলেন, আমরা যার থেকে ট্রলার ভাড়া করি সে না এসে এক বাচ্চা ছেলে দিয়ে ট্রলার চালাতে দেয়। দূর্ঘটনার আগ মুহুর্তে ছেলেটি ট্রলার নদীতে ঘোরানো সময় একটি বাল্কহেড আমাদের ট্রলারে উপরে উঠিয়ে দেয়, সাথে সাথে ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারে আমরা চালকসহ ৫জন ছিলাম তার মধ্যে ৪জন সাঁতরে উপরে উঠি। এরমধ্যে আমার খালাতো ভাই সেলিম সে পানিতে হারিয়ে যায়। এখনো তার সন্ধান পাওয়া যায় নাই। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল অনেক চেষ্টা করেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন অফিসার রেজুয়ান আহমেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে আজ সকাল ১১ টায় উদ্ধার অভিযান শুরু করি খালে ও সংযোগ নদীতে সম্ভাব্য স্থান গুলো ডুবুরী দল খুঁজেছে। স্্েরাতের চাপ বেশি থাকায় দুপুর ২ টায় অভিযান সমাপ্ত করি। তবে যদি সে মারা যায় লাশ ভেসে উঠবে। রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় দুর্ঘটনা ঘটে।