বগুড়র শেরপুরের বেলগাছি পূর্বপাড়া গ্রামে সাপে কাটা মৃত ইছাহাক আলী মুংগিলাকে (৬৫) কবর থেকে তুলে কবরস্থানেই জিবিত করার চেষ্টা করছে কবিরাজ।
২২ আগস্ট সোমবার দুপুরে সুঘাট ইউনিয়নের বেলগাছি পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে মৃত জহর আলীর ছেলে ইছাহাক আলী মুংগিলা।
জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বেলগাছি পূর্বপাড়া গ্রামের ইছাহাক আলী মুংগিলা গত রোববার রাত ৮টা দিকে আমন ধানের জমিতে পানি সেচ দিতে গেলে তাকে সাপে কামড় দেয়। তখন সে ধনুট উপজেলার জালশুকা এলাকার ফজলার হোসেন কবিরের কাছে যান। কবিরাজ ঝাড়ফুঁক দিয়ে পায়ে থাকা বাঁধন খুলে দেয় এবং বলে বিষ নেমে গেছে। এক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে আত্মীয়-স্বজনকে চলে যেতে বলে। প্রায় তিন ঘন্টা ঝাঁড় ফুঁক শেষে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে কবিরাজ ফজলার। রাত ১১ টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে আত্মীয়স্বজন তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে সোমবার সকাল আটটায় জানাজা শেষে কবরস্থানে দাফনের কাজ শেষ করে। এরপর কবিরাজের লোকজন এসে বলে রোগীকে বাঁচানো যাবে। একথা বলে কবর থেকে লাশ উঠিয়ে মৃত ব্যাক্তিকে বাঁচানোর জন্য ঝাড় ফুঁক দিতে থাকে। দুপুর ২টা পর্যন্ত কবিরাজ ঝাড় ফুঁক দিয়ে কোন কাজ না হওয়ায় তাকে আর বাঁচানো যাবে না বলে দাফন সম্পন্ন করেন।
মৃত ইছাহাক আলী শ্যালক সম্রাট সরকার জানান, কবিরাজ ঝাড় ফুঁক দিতে দিতেই অবস্থা বেগতিক হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে কবিরাজ পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জানাজা শেষে অন্য একটি কবিরাজ নিয়ে এসে বাঁচানোর চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
এ ব্যাপারে সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান জিন্নাহ বলেন, আমরা লাশের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য প্রদান করেছি এবং জানাযা শেষ করেছি। পরে জানলাম এক কবিরাজ নাকি মৃত ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। বাঁচাতে না পেরে দাফন সম্পন্ন করেছে।