তেরখাদায় দেখা মিলেছে ব্যতিক্রমী এক ঘাসের হাটের। এটা কোন হাইব্রিড গাছ বা চাষের ঘাস নয়। বিলের অনাবাদি জমি বা জমির আইলে জন্ম নেয়া ঘাস সংগ্রহ করে গড়ে উঠেছে দেশীয় প্রজাতির ঘাসের হাট।
তেরখাদার সাচিয়াদাহ ইউনিয়নের নলিয়াচর গ্রামে গড়ে উঠেছে এই ব্যতিক্রমী ঘাসেরহাট। ভোর হতে না হতেই গ্রামের সাধারণ মানুষেরা বেরিয়ে পড়ে ঘাস কাটতে। ছোট বড় শত শত নৌকা নিয়ে চলে ঘাস সংগ্রহের যাত্রা। পাšতা ভাত আর কাঁচামরিচ দিয়ে সকালের খাবারটা খেয়ে নেন বিলের মধ্যে। সংগ্রহীত ঘাস হাটে আনতে আনতে প্রায় বেলা বারোটা বেজে যায়।
ছোট ছোট আটি বাধা সবুজ ঘাস গুলো কিনতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাইকার বিক্রেতারা ভিড় করে। ব্যতিক্রম এই হাটটি চলে বেলা বারোটা থেকে রাত আটটা পর্যšত।
একজন ঘাস সংগ্রহকারী প্রতিদিন গড়ে পনেরশো থেকে দুই হাজার টাকার ঘাস বিক্রি করেন। পাইকারি বিক্রেতারা প্রতি আটি ঘাস ৮ টাকা দরে ক্রয় করে শেখপুরা, সাহাপাড়া, হাড়িখালি, দক্ষিণপাড়া, উত্তর পাড়া, কাঁচিকাটা, কাটেঙ্গা এলাকায় ১২টাকা থেকে ১৫ টাকা দরে প্রতি আটি ঘাস বিক্রি করে।
তেরখাদার ভূতিয়ার বিল সহ আশেপাশের যোগানীয়া বিল, কচুয়াডাঙ্গা বিল, খলিশাখালী বিলে দেশীয় প্রজাতির ঘাসে ব্যাপক সমরহ মিলেছে।
এই ঘাস গবাদি পশুর উত্তম গো খাদ্য। স্থানীয় গরুর খামারিরা জানান "চাষকৃত হাইব্রিড ঘাসের তুলনায় এই ঘাস গবাদিপশুরা ভালো খায়। এই ঘাসে দুধ বেশি হয় এবং গবাদি পশু বেশি মোটা তাজা হয়।"