মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিজের ক্রয় করার সম্পত্তি জবর দখলের হাত থেকে পুনরুদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম সোহেল মাসুদ। সে উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বিশ্বদ্রোন ভাটেরচর গ্রামের ইসরাফিল খন্দকারের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকালে ভাটেরচর দে,এ মান্নান পাইলট উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন গজারিয়া উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সোহেল মাসুদ। তিনি বলেন, প্রতিবেশী জামাল মোল্লা তার ৮ শতাংশ সম্পত্তি জোর করে দখল করে রেখেছে। দখল করা সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হলে তাকে নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী ধন মিয়ার পৈত্তিক সূত্রে পাওয়া ৭.৫০ শতাংশ জমি থেকে থেকে ভাটেরচর মৌজায় আরএস ২৩৮৯ দাগে ৬০৬৮,২৫৫৯,৬৫২৩ এবং ৫৭৯০ নং সাব কবলা দলিল মূলে ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ৫.৫০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করি। একই দাগে ধন মিয়ার অবশিষ্ট ২ শতাংশ জমি থাকলেও জামাল মোল্লা ২০১৫ সালে ১৮৯৯ মূলে ৫ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। তিনি ৩ শতাংশ জায়গা বেশী ক্রয় করেছেন যা তিনি পাবেন না।
অন্যদিকে দিকে একই দাগে আরেক প্রতিবেশী বক্সের আলীর সম্পত্তি থেকে ১৯৫৯ সালে সড়ক ও জনপদ ১০ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করায় তা বিক্রি করে দেন। তার আরেক ভাই আবেদ আলী ৫ শতাংশের মালিক থাকে। পরবর্তীতে ৫ শতাংশ জমি ২০১৪ সালে ৫০০০ নং সাফ কবলা দলিল মূলে তিনি ক্রয় করেন তবে রেকর্ড জনিত ভুলের কারণে ধন মিয়ার নামে ১ শতাংশ জমি বেশী রেকর্ড হয়।
জামাল মোল্লা প্রকৃত অর্থে ২ শতাংশ জমির দাবিদার হলেও জোরপূর্বক ৮ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখেছেন। ২০২১ সালে সে ১ শতাংশ জমির স্বত্ব দাবি করে দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যা ভিত্তিহীন। মামলা নং ৭৬/২১।
উল্লেখিত জমি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একাধিকবার শালিশ বৈঠক করা হয়। শালিশ বৈঠকে জামাল মোল্লা ২ শতাংশ জমির মালিক বলে জানানো হয়। তাকে জবর দখল করে রাখা সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে বলা হলেও তিনি সেটা না করে জোরপূর্বক প্রায় ৮ শতাংশ জমি দখল করে রেখেছেন। মামলাবাজ জামাল মোল্লার কাছ থেকে নিস্তারের জন্য আমি স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ সময় তিনি প্রমাণ হিসাবে তার কাছে থাকা বিভিন্ন দলিল দস্তাবেজ গণমাধ্যম কর্মীদের দেখান।
এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে জামাল মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি ৬ শতাংশ সম্পত্তির মালিক এবং তিনি ৬ শতাংশ সম্পত্তি দখলে রেখেছেন। সোহেল মাসুদ জোরপূর্বক তার জমি দখল করার চেষ্টা করছে এ বিষয়ে তিনি গজারিয়া থানায় একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে দেওয়ানী আদালতে মামলা চলমান, আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবে।