যশোর ঝিকরগাছায় মারিয়া খাতুন (১৫) নামে এক নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার সকালে নিজ ঘরে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। সে কাশিপুরের আবদুল হান্নানের মেয়ে এবং কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। প্রেমিক মেহেদী হাসান মামলা না করার জন্য মারিয়ার পিতাকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
তার পিতা আবদুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে মেহেদী হাসান (২০) এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এ সময় জোর পূর্বক মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে সুমন। পরবর্তিতে ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে থেকে দুই ভরি স্বর্ণের চেইন নেয়। সন্মান বাঁচাতে মারিয়া ওই চেইন তার বড় বোন শারমিনের গলা থেকে চুরি করে। এর এক সপ্তাহের মাথায় পুনরায় লম্পট মেহেদী টাকা দাবি করলে মানসন্মানের ভয়ে সকলের অগোচরে নিজেদের ঘরের ফ্যানের সঙ্গে তার নিজ ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মারিয়া।
এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দিলে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পোস্ট মর্টেমের জন্য যশোর আড়ই শ' শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার তার সুরতহাল রিপোর্ট করা হবে।
মারিয়ার পিতা আরও বলেন, থানায় ওসি সাহেবের সামনে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে আমার শ্যালক মিলন এসে বলেন মামলা না করতে মেহেদী হুমকি দিয়েছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্ত রাত সাড়ে ৮ টায় জানান, মামলা হয়নি, মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।