পাবনার সুজানগরের জিয়ালগারী ভবানীপুর গ্রামে জাহাঙ্গীর হোসেন (৬০) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার জের ধরে গ্রামটিতে চলছে লুটপাটের মহোৎসব। ইতোমধ্যে নিহত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীরের লোকজন প্রতিপক্ষ লোকজনের আনুমানিক ৪০টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে লুটপাট করা হয়েছে ওই সকল লোকজনের বাড়ির ধানপাট, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য মালামাল।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, একটি ধর্ষণ মামলা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত সোমবার দুপুরে জিয়ালগারী ভবানীপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের পরিবার এবং একই গ্রামের আশরাফ আলীর পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন নিহত হয়। আর এই নিহত হওয়ার জের ধরে ওইদিন রাতে জাহাঙ্গীর হোসেনের জানাজা নামাজ শেষ হওয়ার পরপর প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাংচুর এবং লুটপাট চালায় নিহত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের লোকজন। বিশেষ করে প্রতিপক্ষের লোকজন পুলিশের ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগে তাদের ১০/১২টি পরিবারের আনুমানিক ৪০টি গরু লুট করা হয়। বর্তমানে ওই লুট করা গরু সাঁথিয়া উপজেলার পাইকপাড়া এবং মাজগামের বিভিন্ন বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী গরুর মালিক নজরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, তোফা শেখ, আবদুর রশিদ, এবং রফিক শেখসহ আরো অনেকে বলেন, পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আমরা আসামি হওয়ার কারণে পুলিশের ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাই। আর এ সুযোগে নিহত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের লোকজন আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং আনুমানিক ৪০টি গরু লুট করে। লুটকৃত গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। সেই সঙ্গে তারা বাড়ির ধান, পাট, পেয়াজ এবং অন্যান্য মালামাল লুট এবং ক্ষতি সাধন করে বলেও ভুক্তভোগী পরিবার জানান। এ ঘটনায় ওই সকল পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক পরিবারের নারী-পুরুষ ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হান্নান বলেন ভয়ের কোন কারণ নেই। ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আর লুট হওয়া গরু উদ্ধারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।