বগুড়ার নন্দীগ্রামে একই স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশ আহবান করায় স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারী করে দুই পক্ষের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুড়ইল ইউনিয়নের বীরপলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বেলা ১২ টা থেকে ১৪৪ ধারা জারী করেন।
জানা গেছে, নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউনিয়ন বিএনপি স্থানীয় বীরপলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জ¦ালানী তেলসহসকল দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি ও ছাত্রনেতা নূরে আলম এবং স্বেচ্ছা সেবকদল নেতা আবদুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে বুধবার বিকেল ৩ টায় বিক্ষোভ সমাবেশ আহবান করে। ওই সমাবেশে বুড়ইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন বুলুর সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলেন বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন।
অপরদিকে একই স্কুল মাঠে একই সময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক সমাবেশ আহবান করে। এনিয়ে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়।উভয় পক্ষই বুধবার সকাল থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়। একারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুধবার বেলা ১২ টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বীরপলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৪৪ ধারা জারী করে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন।
এদিকে বুধবার সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ স্কুল মাঠে অবস্থান নিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি ছিল আমাদের। সে মোতাবেক ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে স্কুল মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ ঘোষণা করায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
বুড়ইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালিপদ প্রামানিক বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা ছিল আগে থেকেই। বিএনপি জেনেশুনেই এখানে কর্মসূচি দিয়েছে।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিফা নুসরাত বলেন সহিংসতা এড়াতে ১৪৪ থারা জারী করা হয়েছে। কোন পক্ষকেই সেখানে সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।