আবাদ হয়েছে ঠিকই,কিন্তু জমিতে পানি নেই। এতে জমির আবাদকৃত আমন ধান শুকিয়ে গেছে। গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে সেই ধান গাছ ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানির অভাবে এমন দৃশ্য পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে।
কৃষকেরা জানান,প্রতি বছরের মতো এবারও বোনা আমন ধানের আবাদ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে আমন ধানের গাছ পানিতে ভাসতে থাকে। ধান পাকার পর পানির মধ্যেই কাটা হয়। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে মাঠ ও বিল পানিতে থাকে টইটুম্বর। কিন্তু চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। কোথাও পর্যাপ্ত পানি নেই। আমন ধানের গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। আবার অনেক স্থানে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। বোনা আমন ধান এখন পশুখাদ্য। অনেকে ধান কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন। বোনা আমন ধানের জমিতে নতুন করে স্বর্ণা ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। শুধু বোনা আমনই নয়। পানির অভাবে এবার রোপা আমন আবাদ আর পাট জাগ দেওয়া নিয়েও চরম দূর্ভোগে পড়েন এ অঞ্চলের চাষিরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,এবার চাটমোহর উপজেলায় ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধানের আবাদ হয়েছিল। কিন্তু পানির অভাবে ক্ষতির সম্মুখিন চাষিরা। শুকিয়ে গেছে আমন ধানের জমি।
উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর গ্রামের কৃষক ওসমান গণি বললেন,প্রতি বছর যে পানি হয় তাতে বোনা আমন ধানের জন্য যথেষ্ট। ফলনও ভালো হতো। কিন্তু এবার আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পানির অভাবে ধান,পাট নিয়ে আমরা মহাবিপদে আছি। কোথও পানি নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এ মাসুমবিল্লাহ বললেন,এবার ভরা বর্ষাতেও পানি আসেনি এ অঞ্চলে। বোনা আমন ধানের জমি শুকিয়ে গেছে। কিছুতো ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমন ও পাট জাগ দেওয়া নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন কৃষক। পানি নির্ভর এসকল ফসল নিয়ে তাই সবারই দুশ্চিন্তা।