নওগাঁর নিয়ামতপুরে যৌতুকের ৬ লক্ষ টাকা দিয়েও প্রায় দেড় মাস ধরে ঘরছাড়া রয়েছেন এক গৃহবধু। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধু মোরশেদা(২৬) সোমবার রাতে তিনজনকে স্বামী রকিবুল ইসলাম(৩২), শশুর সিরাজুল ইসলাম (৬৫) এবং শাশুড়ী রশিদা বেগকে (৫৫) অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মোরশেদা মান্দা উপজেলার হাটইর গ্রামের মোকলেছুর রহমানের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে নিয়ামতপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় মোরশেদার। তাঁদের সংসারে ৮ বছরের ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় চাপ দিত তাঁর স্বামী রকিবুল। সংসারে টিকে থাকার জন্য বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময়ে স্বামীকে ৬ লক্ষ টাকা এনে দেন মোরশেদা। এতে করে বাবার বাড়ির সাথে সুসম্পর্কের অবনতি ঘটে মোরশেদার। এরপরও আবারো তার স্বামী টাকা আনতে চাপ দেয়। কিন্তু আর টাকার কথা বলতে পারবেনা জানালে রকিবুল ইসলাম মারধর করে তাকে বাবার বাড়ি রেখে আসে। এরপর থেকেই ও গৃহবধু এখন বাবার বাড়িতে।
ভুক্তভোগী গৃহবধু মোরশেদা জানান, আমার স্বামীর অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। যখন তখন যৌতুকের জন্য চাপ দেয় আমাকে। তার কথা শুনে এখন পর্যন্ত ৬ লক্ষ টাকা এনে দিয়েছি। আবারো টাকার দাবি করলে দিতে অস্বীকার করায় সে মারধর করে আমাকে বাবার বাড়িতে রেখে আসে। প্রায় দেড় মাস ধরে বাবার বাড়িতে আছি এখন পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর নেয়নি সে।
এ ঘটনায় মোরশেদার স্বামী রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি কোন যৌতুক নেয় নি। আমার স্ত্রী আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।