সারিয়াকান্দিতে মৎস্য চাষে খাল, বিল ও পুকুরে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে মৎস্য চাষীরা চাষকরা মাছ নিয়ে বেকায়দায় পরেছেন। তবে এ সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য পুকুরের পাড়ে সেচ পাম্প বসিয়ে সেচ দিতে অনেক চাষী তৎপর হয়ে উঠেছেন। এজন্য মৎস্য চাষে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চাষীদের।
স্থানীয় মৎস্য চাষী ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সদ্য শেষ হওয়া বর্ষাকালে আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকালেও বৃষ্টিপাতের দেখা মিলছেনা। এ কারণে এরইমধ্যে নদী-নালা, খাল-বিলে,পানি সংকট দেখা দিয়েছে। তলায় পৌঁছেছে পানির প্রবাহ। পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় মাছ কোনো ভাবেই বড় হতে পারছেনা। বড়-বড় নদীতেও ছোট মাছ মেরে সাবার করছেন জেলেরা। মাছ আহরণের ক্ষেত্রগুলোতে বড় মাছ না পেয়ে ছোট মাছ ধরে বাজারে অধিক দামে বিক্রি করার পরেও জেলে পল্লীতে অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্দ্যেগে গড়ে তোলা মৎস্য খামারে পানি সংকট দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে। পানি সংকটের কারণে অনেক মৎস্য চাষীরা এরইমধ্যে পুকুরে ছেড়ে দেওয়া মাছ বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। অকালে পুকুর থেকে মাছ তোলায় মাছ চাষের যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে, সে পরিমাণ মূলধন এবছর ঘরে তোলায় কঠিন হয়ে পরেছে। আবার অনেক মৎস্য চাষী খামারে বা পুকুরে সেচ মেশিন বসিয়ে সেচ দিচ্ছেন। এতে প্রাকৃতিক ভাবে প্রাপ্ত পানিতে মাছের আশা জনক বাড়-বাড়া থাকলেও সেচের পানিতে মাছ সে পরিমাণ বড় হচ্ছেনা। তাছাড়াও সেচের কারণে মৎস্য চাষীদের উদপাদন খরচ বাড়ছে কয়েকগুণ। বাড়তি খরচের কারণে চাষীদের কপালে দূর চিন্তার ভাজ পড়তে শুরু করেছে। চাষীরা জানান, এমনিতেই মাছের খাদ্য ও অন্যান্য উপকরণ বাড়তি দামে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে মৎস্য চাষে পেশা নিয়ে বেকায়দায় পড়েছি আমরা। ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হাট ফুলবাড়ী গাবতলা পাড়া গ্রামের মৎস্য চাষী মো: আজিজার রহমান প্রামানিক বলেন, আমার বাড়ির সামনে ৮০ শতাংশ জমির উপর পুকুরে মাছ চাষ করে আসছি প্রায় ১০ বছর হলে। মৎস্য চাষে এবারের মতো বেকায়দায় আর কোন বার পরিনি। ফসলের জমিতে পুকুর খনণ করে ফিরতে পারছিনা চাষাবাদে। মৎস্য চাষে অন্যান্য খরচের সাথে দুু‘টি সেচ পাম্পের বাড়তি খরচ যোগ হওয়ায় আমি খুবই চিন্তায় আছি। এখন আমি কি করবো ভেবে কিনারা পাচ্ছিনা। সরকার আমাদের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে দেখবেন আশাকরি।
উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: গোালাম মোর্শেদ বলেন, এ উপজেলায় প্রায় ১হাজার ৫৬০টি পুকুর রয়েছে। এ পরিমাণ পুকুর ছাড়াও ওয়াবদার বাঁধের খাদ, বাঙালি ও যমুনা নদীর বেশকিছু কোলা রয়েছে। মৎস্য চাষের সবখানেই আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব পরেছে। বৈষিক পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে এমন অবস্থা দেখা দিয়েছে। মৎস্য চাষীদের এমন ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে সুপারিশ করা হবে।