যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা গ্রামে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৩ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। গ্রামের একটি অংশ পৌরসভার মধ্যে, অবশিষ্টাংশ ঝিকরগাছা ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ যেন আলোর নীচেই অন্ধকার দেখছেন। "গ্রাম হবে শহর" সরকারি এই স্লোগানকে ভূতের মন্তর পাঠের মতোই দেখছেন তারা।
ঝিকরগাছা বাজার সংলগ্ন এই গ্রামের একটি রাস্তাও আজ পর্যন্ত পাকাকরণ করা হয়নি। এই গ্রামের উপর দিয়ে চলে গেছে ঝিকরগাছা মনিরামপুর মহাসড়ক। এই মহাসড়ক থেকে গ্রামে প্রবেশের তিনটি রাস্তা আছে। সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় তিনটি রাস্তা কর্দমাক্ত। প্রতিটি রাস্তার উপর পানি জমে আছে। ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল কাদা পানির মধ্যে দিয়ে পার হতে হয়।। পায়ে হেটে চলাচলের পরিবেশও নেই। এ নিয়ে গ্রামের মানুষের ক্ষোভের অন্ত নেই। গ্রামবাসী জানান প্রতিটি নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিগন আশ্বাস দেয় কিন্তু ভোটের পরে আর কেউ খোঁজ নেয়না। ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রব জানান, শহর সংলগ্ন এই গ্রামের একটি রাস্তাও আজ পর্যন্ত পাকাকরণ হয়নি। অথচ এই গ্রামে প্রাইমারি স্কুল, হেফজখানা, মসজিদ সহ তিন হাজার মানুষ বসবাস করে। গ্রামের অপর বাসিন্দা বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমদ বলেন, গ্রামের মধ্যে কোনো মানুষ বর্ষাকালে যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে ঘাড়ে করে মেইন রোড পর্যন্ত আনতে হবে। বর্ষায় গ্রামের রাস্তা গুলো এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে অ্যাম্বুলেন্স তো দুরের কথা, ভ্যানগাড়িও চলতে পারেনা। তিনি রাস্তাগুলো পাকাকরণে সরকারের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ প্রসঙ্গে দুইবারের নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমির হোসেন জানান, পায়রাডাঙা গ্রামের রাস্তাগুলো খুবই খারাপ। কিন্তু এই রাস্তার উন্নয়ন কাজ করবার মত যথেষ্ট ফান্ড আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়না। যদি বরাদ্দ আসে তবে রাস্তাগুলোর নির্মাণ কাজ করে দেওয়া হবে।