পঞ্চগড় পৌরসভার অধিকাংশ এলাকার রাস্তা-ঘাট খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে সংস্কার না করায় মটরসাইকেল, রিক্সা-ভ্যানসহ সকলপ্রকার যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খানা-খন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পেরে সাইকেল, মটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন এখন রাস্তার পাশে মেঠোপথ ধরে চলতে দেখা যায়।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে পঞ্চগড় পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার প্রায় ১৯ বছর পর ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয় পঞ্চগড় পৌরসভাকে। সময়ের সাথে সাথে পৌরবাসীর পৌরকরসহ বিভিন্ন ব্যয় বৃদ্ধি হলেও বৃদ্ধি হয়নি নাগরিক সুযোগ সুবিধা।
স্থানীয়রা জানায়, পঞ্চগড় পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। সাইকেল, মটরসাইকেল, রিক্সা-ভ্যানসহ সকলপ্রকার যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এতে যাত্রীদের অসুবিধার পাশাপাশি রিক্সা-ভ্যানসহ চলাচলরত যানবাহনগুলোর বিভিন্ন ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পিচঢালা রাস্তার পাথর উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্ত। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ডাস্টবিন না থাকায় বর্ষায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দ্বীগুণ হয়ে যায় পৌরবাসীর দুর্ভোগ।
এছাড়াও ডাস্টবিন না থাকায় রাস্তা-ঘাটসহ যত্রতত্র ময়লা ফেলে রাখায় জন সাধারণের চলাচলে অসুবিধার পাশাপাশি ময়লার র্দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে পুলো এলাকায়। এতে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে রোগ-ব্যাধির আশঙ্কা কম নয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
শহরের স্টেডিয়াম রোড, কায়েতপাড়া, ইসলামবাগ, জালাসীপাড়া, কামাতপাড়া, তুলারডাঙ্গা, রাজনগর, পুরাতনক্যাম্প, মসজিদপাড়া, ডোকরোপাড়াসহ পৌরসভার অধিকাংশ এলাকার রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। অন্যদিকে রাস্তা ভাঙ্গার অজুহাতে যাত্রী সাধারণকে গুণতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া। উত্তর রামের ডাঙ্গা এলাকার অশোভা (৫০) ও রেহানা (২৭) জানান, রাস্তার লাইটগুলো একটাও জ¦লে না, ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচল করা বিপদজনক হয়ে গেছে। ইসলামবাগ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আইবা উদ্দিন (৫৬) বলেন, বর্ষা মৌসুমে মসজিদের সামনের এই রাস্তায় ড্রেনের পানি উঠে আসে। এতে মসজিদের মুসল্লীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও হাঁটু পানি বেয়ে চলাচল করতে হয়। অটোচালক আবদুল জব্বার বলেন, নতুন রিক্সা কিনছি, রাস্তা-ঘাট অতিরিক্ত ভাঙ্গাচোরা হওয়ায় ৬ মাস যেতে না যেতেই আমার রিক্সার কয়েকটি জায়গায় ফাটল ধরেছে। কায়েতপাড়া এলাকার অটোরিক্সা যাত্রী লিপন হোসেন বলেন, বলার কিছু নেই, ১০ টাকার রিক্সা ভাড়া এখন বিশ টাকা দিলেও রিক্সাওলারা যেতে চায় না।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, অদক্ষ ঠিকাদার ও নি¤œমাণের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় বছর যেতে না যেতেই রাস্তার পাথর উঠে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। আর দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনগণকে।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানান, পৌর এলাকার রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়নে পৌর কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অতি শীঘ্রই
পৌরসভার নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।