রাজশাহীর তানোরে দুই সন্তানের পিতা চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার জৈনক ব্যক্তির দারিদ্র্য পরিবারের কলেজ পড়-য়া মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম হাবিবুর রহমান (৩৫)। ধর্ষণের অভিযোগে গেলো ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তানোর থানায় মামলা দায়ের করেন ভিক্টিম। তবে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত হাবিবুর মামলা দায়েরের আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
মামলা ও ভিক্টিম পরিবার সূত্রে জানা যায়, চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার একই থানার চরপাড়া গ্রামের জৈনক ব্যক্তির দারিদ্র্য পরিবারের কলেজ পড়-য়া মেয়ে বিজিপিতে চাকরির পরিক্ষা দেবার জন্য রংপুরে যান। সেখানে রাজশাহী জেলার তানোর পৌর সদরের গুবিরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা সেকেন্দার আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান (৩৫) তিনিও ওই একই স্থানে চাকরির পরিক্ষা দেবার জন্য রংপুরে যান। এ সময় তাদের মধ্যে পরিচয় হলে হাবিবুর রহমান তিনি অবিবাহিত বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু বাড়িতে স্ত্রীসহ দুই সন্তান রয়েছে তাঁর। এরপর সেখান থেকে এসে মোবাইলে তাদের সর্ম্পক গাড়ো হতে থাকে। পরে প্রেমের প্রস্তাব ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে উত্ত্যক্ত করতে থাকে হাবিবুর। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গাড়ো হয়ে উঠে। এরপর তাদের প্রেমের সম্পর্ক দৈহিক সম্পর্কে রূপ নেয়। ঘটনার দিন তানোর ডাকবাংলোর পার্শ্বে হাবিবুর তার পরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে ভিক্টিককে নিয়ে রাত্রি যাপন করে। এরপর ভিক্টিক বিয়ে করতে চাইলে হাবিবুর তাতে সাড়া না দিয়ে এড়িয়ে যায়। কিন্তু মেয়ের এসব ঘটনা তাঁর পরিবারের লোকজন মেনে নেয়নি। পরে নিরুপাই মেয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে তানোরে এক পরিচিত ব্যক্তিকে ঘটনা জানায়। ওই ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে থানা পুলিশে খবর দেন। পরে ভিক্টিক বাদী হয়ে গেলো ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তানোর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তবে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ভিক্টিম কলেজছাত্রী জানায়, হাবিবুর অবিবাহিত বলে ও বউ ছেলে তথ্য গোপন করে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তানোরে এক বাড়িতে নিয়ে আবারো তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী আরও বলেন, এসব ঘটনার পরও আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে ভয়ভীতি দেখায়। আমি নিরুপায় হয়ে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
তবে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে আমি বিয়ে করতে রাজি ছিলাম। কিন্তু পরিবারের চাপে বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছি। এখন লোকজন ধরা হয়েছে। তাঁরা বিয়ে দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ভিক্টিকের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।