বগুড়ার গাবতলীতে ২৪ আগস্ট দিবাগত রাত ৯ টায় ফসলের মাঠ থেকে শ্যালো মেশিন চুরি করতে গিয়ে বাধা দেয়ায়, মেশিনের মালিককে মুখ চেপে ধরে গলায় ধারালো চাকু ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা। ৩ জন পালিয়ে গেলেও স্থানীয় জনগন রিয়াদ হাসান (২০) নামের একজনকে আটক করে ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন দেয়। পুলিশ ঘটনার স্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় আনে। গ্রেফতারকৃত রিয়াদ হাসান গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের ধোরা পুর্বপাড়া গ্রামের রাঙ্গা মেকারের ছেলে বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পশ্চিম মহিষাবান গ্রামের মৃত ছুমু সাকিদারের ছেলে আবদুর রহিম (৫৭) বাদী হয়ে এজাহারে বলেছেন, মহিষাবান টু পেরীহাট সড়কের ধোরা কাকলা গাড়ী চরায় ফসলের মাঠে তার ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনদ্বারা নিজের জমিসহ অন্যান্য কৃষকের জমি সেচ প্রদান করে আসছে। ঘটনার রাতে বাদী একাই পানি সেচ দেয়ার জন্য মেশিন ঘরে গিয়ে দরজার শিকল কাটা দেখতে পান। হাতে থাকা টর্চ লাইট জ¦ালিয়ে মেশিন ঘরে দেখতে পান, কয়েকজন মিলে তার শ্যালো মেশিন খুলছেন। এ সময় সে চিৎকার দিলে চোরেরা তার মুখ চেপে ধরে গলায় ধারালো চাকু ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। বাদীর ডাক ও চিৎকার শুনে পাশের ইটভাটা থেকে নাইট গার্ডসহ গ্রামের লোকজন ছুটে আসে।
জীবন বাঁচাতে বাদীকে ছেড়ে চোরেরা পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগন, রিয়াদ হাসানকে একটি মোটর সাইকেল ও একটি ধারালো চাকুসহ আটক করে। এ সময় আরো ৩ জন পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনগন আটক চোর রিয়াদ হাসানকে উত্তম মাধ্যম দিতে থাকে। এ সময় একজন ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন দিলে গাবতলী মডেল থানা থেকে, এস আই জহুরুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনার স্থানে গিয়ে জনতার কবল থেকে রিয়াদ হাসানকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। বাদী যাদের নামে থানায় মামলা দিয়েছেন, শ্যালো মেশিন চুরি করতে আসা, রাঙ্গা মেকার ও গ্রেফতারকৃত রিয়াদ হাসান পিতা ও পুত্র, অপর ২ জন অজ্ঞাত বলে উল্লেখ করেছেন।
এব্যপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছে, মহিষাবান কাকলাগাড়ী আমনের ফসলের মাঠ থেকে রাতের আঁধারে শ্যালো মেশিন চুরী করতে গিয়ে, মেশিনের মালিককে ধারালো চাকু দিয়ে হত্যার চেষ্টাকালে জনগন রিয়াদ হাসান নামের একজনকে আটক করে ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন দেয়। ফোন পেয়ে তাকে আমরা গ্রেফতার করি। এ ঘটনায় ২৫ আগস্ট রাঙ্গা মেকার ও রিয়াদ হাসান পিতা ও পুত্রসহ অজ্ঞাত আরো ২ জনের নামে চুরি দস্যুতাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়েছে। আসামি রিয়াদ হাসানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।