চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবৈধ ৩ টি স' মিলে অভিযানে মালামাল জব্দ পর সাপ্তাহ না যেতে পুনরায় মিল চালু করা হয়েছে। স' মিলের মালিক পক্ষের সূত্র বলছে বন বিভাগের দায়িত্বশীলদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে মিল চালু করা হয়েছে। তবে বন বিভাগ সমঝোতার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট উপজেলার ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুর এলাকায় অবৈধভাবে স্হাপিত ৩ টি স' মিলে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ। অভিযানে একশ মিটারের মধ্যে স্হাপিত এই ৩ টি স' মিলের মালামাল জব্দ করা হয়। (এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।) কিন্তু অভিযানের ৪ দিনের মাথায় ২ টি স' মিল পুনরায় চালু করা হয়েছে। এই দুইটি স' মিলের মালিক দুই সহোদর। অবৈধভাবে স্হাপিত স'মিলে অভিযানের সাপ্তাহ না যেতে কিভাবে চালু করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর মিল মালিকের সাথে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানান, বন বিভাগের সাথে সমঝোতা করে মিল দুটি চালু করা হয়েছে।
এব্যাপারে বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ফজলুল কাদের চৌধুরীর কাছে গনমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি তাদের সাথে সমঝোতার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন সমঝোতার প্রশ্নই উঠে না। উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রাট আবু রায়হান এর নেতৃত্বে গত ১৭ আগস্ট অবৈধ ৩ টি স' মিলে অভিযান পরিচালনা করে মিলের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিল চালু করার বিষয়টি তার জানা নেই বলে গনমাধ্যমকে জানান। তবে এই কর্মকর্তার ব্যাপারে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি বিষয়টি ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে। বিগত প্রায় দেড় বছর পূর্বে হাটহাজারী উপজেলার বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন মনিয়া পুকুরের উত্তর পার্শ্বে ধলই - গুমানমর্দ্দন সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে অবৈধভাবে স্হাপিত স' মিলে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদন্ড প্রদান করে মিল পরিচালনা না করার বিষয়ে মুচলেকা নিয়ে ছিল। তিনি বদলী হওয়ার পর এই স' মিলটি পুনরায় চালু করা হলে গত ১৭ আগস্ট এ সি ল্যান্ড সংগীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মিলের মালামাল জব্দ করেন।
স' মিল চালু বিষয় নিয়ে এসিল্যান্ড আবু রায়হান এর কাছে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে অভিযান পরিচালনা করে মিলের মালামাল জব্দ করছি। দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাবে যদি অবৈধ স' মিল পুনরায় চালু হয়ে থাকে দায়টা প্রশাসনের উপর বর্তায়। আর প্রশাসন বলতে ইউ এন ও, এসিল্যন্ড ও থানার ওসি কে বুঝানো হয়। কিন্তু অনেক সময় এসব বিষয়ে বেশীর ভাগক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন অবহিত থাকে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে যদি মিল চালু করা হয়ে থাকে আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে ও তিনি জানান।