ভোলার দৌলতখানে যুবদল নেতার পিতার মালিকানাধীন বাগানের সুপারি লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাগান মালিক বাদী হয়ে ৩জনকে অভিযুক্ত করে দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত লাল মিয়া হওলাদারের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই তোফাজ্জল হোসেন পশ্চিম জয়নগর মৌজায় জেএল নং ২৪, নং ৭৪২/২২১ খতিয়ানের ১০৮৩/১০৮৪ নং দাগে ৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ১৯৬৩ ও ১৯৬৮ সালে। এরপর ২০০৮ সালে আ.লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিপক্ষ আলাউদ্দিন গংরা ক্ষমতার দাপটে বিভিন্ন সময় জমিটি নিজেদের দাবী করে বিরোধ সৃষ্টি করতো। এরই ধারাবাহিকতায় জমির মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গেলে গত ২৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টায় আলাউদ্দিন গংরা তাদের বাগান থেকে সুপারি পাড়া শুরু করেন। পরে রফিকুল ইসলামের ভাই তোফাজ্জল হোসেন সুপারি পাড়ায় বাঁধা দিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে মারপিট করতে তেড়ে আসেন। এ সময় তোফাজ্জল হোসেন ডাক-চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। পরে আলাউদ্দিন গংরা বাগানের সুপারি লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩জনকে অভিযুক্ত করে দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আবদুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে আলাউদ্দিন (৪৫), দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আবুল বাশার হাওলাদারের ছেলে হারুন মেম্বার (৪০) ও একই ঠিকানার মৃত নাছির হাওলাদারের ছেলে সমসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অভিযোগে আরো জানা যায়, অভিযুক্তরা এবং খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। জুলুমবাজ, লাঠিয়াল সর্দার, অন্যের সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখল করা আলউদ্দিন গংদের নেশা ও পেশা। ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ,তুষার ও হাবিবুল্লাহ জানান আলাউদ্দিন,হারুন মেম্বার ও মুন্না ভোলা২ সংসদ সদস্য আত্মীয় হওয়ায় তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। রফিকুল ইসলাম হাওলাদারের বাগানে বর্তমানে ৬শতাধিক সুপারি ও নারিকেল গাছ রয়েছে। উল্লেখ্য রফিকুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে রকিবুল হাসান হাওলাদার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য। জানতে চাইলে দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, অভিযোগ দিয়ে থাকলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।