নীলফামারীর সৈয়দপুরে রয়েছে একটি স্টুডেন্ট ক্লাব। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কামারপুকুর বাজারে এ ক্লাবটি গড়ে তোলা হয়।
ছাত্রদের কিছুটা বিনোদনের অভাব পুরণে ১৯৮৭ সালে এ ক্লাবের জন্য সোয়া শতক জমি দান করেন কামাল ইয়ার খান নামে এক ব্যক্তি।
এরপর ওই ক্লাবটি চলে আসছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে। গত ২০২০ সালের ১ অক্টোবর ক্লাবের দোকান ভাড়া দেয়া হয়। ৫ বছরের চুক্তিতে এবং মাসিক ১ হাজার ২শ টাকায় ভাড়ায় নেন সাজিদুর রহমান লেবু। বৈদ্যুতিক বিল বাবদ আরও দুইশ টাকা দেয়া হত ক্লাবের সেক্রেটারী জয়নাল হিরোকে। ভাড়ার চুক্তি ছিল ৫০ হাজার টাকা জামানত এবং আগামী ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ।
এরই মধ্যে ওই ক্বাবটি সভাপতি একরামুল হক ও সেক্রেটারী জয়নাল হিরো গত ৩০ জুন ১৩ লাখ টাকায় বিক্রী করেন। বিক্রিত টাকা সকল সদস্য না পেলেও ১৬ জন সদস্য ভাগ করে নেন এমন অভিযোগ করা হয়।
একটি ক্লাব ঘর কিভাবে বিক্রি করা হল। কাগজপত্রই বা কার নামে করা হল। খাজনা খারিজই বা হল কেমন করে। সংগঠনের জায়গা কিভাবে দলিল হল। এ প্রশ্নগুলো কামারপুকুর বাজারে সচেতন মানুষের। অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কারা এটি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করলো এটা তদন্ত প্রয়োজন।
ক্লাবটি বিক্রির বিষয়ে সভাপতি একরামুল হক প্রথমে কথা বলতে রাজি হননি। পরে নিজের দোষ ঢাকতে তিনি বলেন আমি এর সাথে জড়িত ছিলাম না। ক্লাবের সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম,সেক্রেটারী জয়নাল হিরো,সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুর,দপ্তর রব্বেল,সদস্য সত্যন্দ্র নাথ ক্লাবটি ১৩ লাখ টাকায় ওবায়দুল নামে কামারপুকুরের এক লোকের কাছে বিক্রি করে। সেখান থেকে তারা আমাকে জোড় করে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক জানান, ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ২৮ জন। কার্যনির্বাহী পরিষদ ১৬ সদস্যের।
গত ৩০ জুন এ স্টুডেন্ট ক্লাবটি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করা হল এ ব্যাপারে কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সরকার কোন মন্তব্য করেননি। তবে ক্লাবের অন্য সদস্যরা বলেন আমরা জানি না কেমন করে এটি বিক্রি হল।
ক্রেতা ওবায়দুর জানান, আমাকে তারা দলিল করে দিয়ে ১৩ লাখ টাকা বুঝে নিয়েছে। যদি কোন কিছু হয় তাহলে আমি টাকা ফেরত নেব তাদের কাছ থেকে।
এদিকে ভাড়াটিয়াকে হুমকী দেয়া হচ্ছে দোকান খালি করতে। ভাড়াটিয়া মালিক লেবু জানান,আমার সাথে চুক্তি আছে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তার পুর্বে আমার সাথে কোন প্রকার আলোচনা না করে তারা ক্লাবটি বিক্রি করে চলে যান। আর ক্রেতা আমাকে দোকান খালি করতে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করছে।