নোয়াখালী ২৫০শর্য্যা জেনারেল হাসপাতালে মোঃ খুরশিদ আলম(৫৭) নামের এক হার্নিয়া রোগীর অপারেশন করার জন্য দাবীকৃত ৫হাজার টাকা না পেয়ে রোগীকে একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে হাসপাতালের ২ ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) হাসপাতালের তত্বাবধায়কের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়ে মারধরের শিকার ভুক্তভোগী মোঃ খুরশিদ আলম। হামলার শিকার মোঃ খুরশিদ আলমের বাড়ি নোযাখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের শায়েস্তানগর গ্রামে।
খুরশিদ আলম জানায়, তিনি হার্নিয়া রোগের ব্যাথা নিয়ে ১১ আগস্ট নোয়াখালী ২৫০ শর্য্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গেলে বর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেখে ২৭৭৪৭/১৩৭ নং সিরিয়ালে রেজিষ্ট্রি ভুক্ত করে তাকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করার জন্য ১/০৩ নং ওয়ার্ডে প্রেরণ করে। ওই কক্ষে যাবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার নিকট ১হাজার টাকা দাবী করলে ওই সময় তার নিকট টাকা না থাকায় তিনি বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে চলে যান।
পরবর্তীতে হার্নিয়া ব্যাথা বেড়ে যাওয়ায় পূনরায় তিনি ১৩/০৮/২২ ইং তিনি হাসপাতালে গিয়ে অনুনয় বিনয় করলে ফের তাকে ১নং ওয়ার্ডের ৩নং কক্ষে ভর্তি করান। এরপর তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে প্যাথলোজী নিরিক্ষ করিয়ে ডাক্তারকে দেখালে ২০/০৮/২২ ইং অপারেশনের তারিখ নির্ধারণ করেন। পরবর্তীতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার আগ মুর্হুতে ওয়ার্ডে কর্মরত দুই চিকিৎসক তার নিকট ৫হাজার টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই দুই ডাক্তার তার অপারেশন ২৪ তারিখ হবে বলে জানালে তিনি বাড়ি চলে যান।
পবর্তীতে তিনি ফের ২৪ তারিখ বুধবার অপারেশনের জন্য তিনি হাসপাতালে গেলে ওই দুই ডাক্তার তার নিকট আবারো ৫হাজার টাকা দাবী করেন।এসময় তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার অপারেশন থিয়েটারের পাশ্বে একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে চিকিৎসার যাবতীয় কাগজপত্র জোরপূর্ব কেড়ে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি কাগজপত্র চাহিলে ওই ডাক্তারগণ তাকে কিল,ঘুশি,লাথি মেরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। এ সময় তারা তাকে প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বলেন। এসব ঘটনা হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামরায় রয়েছে বলে দাবী করেন। এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। যার অনুলিপি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক,নোয়াখালী সিভিল সার্জন, ও দুদুক চেয়ারম্যানের নিকট।
এব্যপারে জানান জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক হেলাল উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।