কলারোয়ার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সনাক্তকারীর স্বাক্ষর জাল করে জমির দলিল করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে-কলারোয়া পৌর সদরের গদখালী গ্রামে। গদখালী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মুল্লুক চাঁদের ছেলে আবদুল মান্নান জানান-তাদের ঝিকরা-৬০নং মৌজায় দুইটি দলিলে বহু জমি আছে। এই জমি তারা দুই ভাই সমান সমান ভাগে পাবেন। কিন্তু আমার ভাই আবদুল হান্নান- দলিলে সমান ভাগে জমি থাকলেও বাস্তবে ৭শতক জমি বেশি করে নিয়ে ভোগ দখল করে খাচ্ছেন। সে ওই জমি ফেরৎ না দিয়ে প্রতারনা মূলক ভাবে গোপনে ঝিকরা-৬০নং মৌজায় .০৫৮০ শতক জমি গত-১৭জুলাই-২২ তারিখে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের খলিল মোড়লের ছেলে জিয়াউর রহমানের কাছে ৫ লক্ষ ৪১হাজার টাকা মূল্যে বিক্রয় করে দেয়। জিয়া ওই জমি কেনার পরে প্রাচির দিয়ে ঘিরে নেয়। এতে করে আমার বাড়ীতে যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া আমি খোঁজ নিয়ে ৪২৩২/২২ নং দলিলের নকল তুলে যানতে পারি যে আমার স্বাক্ষল জাল হয়েছে। তারা ওই দলিলে সনাক্তকারী হিসাবে আমার নাম ব্যবহার করেছে। এমনকি আমার সহি স্বাক্ষর জাল করেছে। এর আগে জমি সার্ভে জরিপে দেখা যায়-৩৭.২০ নং আমার ও আমার ভাই আবদুল হান্নান এর রয়েছে-৪৩.৯৫ শতক। কিন্তু দুই ভাইয়ের জমিতো সমান হওয়ার কথা তাহলে আবদুল হান্নানের এত বেশি জমি কিভাবে আসছে। আসলে সে আমার জমির আইল ও সিমানা ফাঁকি দিয়ে বেশি দখল করে নিয়ে খাচ্ছে। তার ছেলে মুজাহিদুল ইসলামও এই ফাঁকি দেয়া কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকিও দিচ্ছে। তার নামে এলাকায় বহু অভিযোগ রয়েছে। এখন পরের জমি ফাঁকি দিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে। আমি বাপ-ছেলের কবল থেকে আমার ৭শতক জমি উদ্ধার, বাড়ীতে যাতাওয়াতের পথ উদ্ধার ও আমার সহি স্বাক্ষল জাল করার ঘটনায় দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনা ভুমি এবং কলারোয়া থানা পুলিশের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। তিনি আরো বলেন-এবিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত আবদুল হান্নানের সেল ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্বব হয়নি।