কেশবপুরের পাঁজিয়া সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ এর আয়োজনে ২৬ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এর ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবির জীবন, আদর্শ ও তাঁর সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সংগঠনের কার্যালয়ে। সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক প্রভাষক, লেখক ও প্রাবন্ধিক তাপস মজুমদার এর সঞ্চাপ প্রধান অতিথির আলোচনা করেন কেশবপুর নাগরিক সমাজের সভাপতি এ্যাড. আবু বকর সিদ্দিকী, মুখ্য আলোচক ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হাসেম আলী ফকির, বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক দীলিপ মোদক, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস দে। ১৯২৬ সালের ১৫ই আগস্ট সুকান্ত ভট্টাচার্য তার মাতামহের বাড়িতে কোলকাতার কালীঘাটের ৪৩,মহিম হালদার স্ট্রীটের বাড়িতে এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। কবির পৈতৃক বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া অন্তর্গত ঊনশিয়া গ্রামে। বেলেঘাটা দেশবন্ধু স্কুল থেকে ১৯৪৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। এ সময় ছাত্র আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত হওয়ায় তার আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। সুকান্তের বাল্যবন্ধু ছিলেন কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের ডোঙ্গাঘাটা গ্রামের কবি অরুণাচল বসু। সুকান্ত সমগ্রতে লেখা সুকান্তের চিঠিগুলির বেশিরভাগই অরুণাচল বসুকে লেখা। অরুণাচল বসুর মাতা কবি সরলা বসু যিনি পাঁজিয়ার মেয়ে সুকান্তকে পুত্রস্নেহে দেখতেন। কবির জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছিল কলকাতার বেলেঘাটার ৩৪ হরমোহন ঘোষ লেনের বাড়ীতে। তারঁ জীবন ও সৃষ্টির উপর আরো আলোচনা করেন, সমাজ কল্যাণ সংস্থার পরিচালক বাবুর আলী গোলদার, পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল ব্যাণার্জী, আসুতোষ বিশ্বাস, শিক্ষক আলী আব্বাস, সংগঠনের সহ সভাপতি সমীর দাস, সুব্রত বসু, দেশ সঙ্গীত বিদ্যালয়ের পরিচালক আবদুস সাত্তার, কবি কৃষ্ণপদ সরকার, প্রনব মন্ডল মানব, রবিউল আলম প্রমুখ। সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা ও কবিকে নিবেদিত কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ও ছড়াকার দীপক বসু, মিহির বসু, মাসুদা বিউটি, রিম্পা বসু, সুব্রত বসু, লিটন হোসেন, তাপস বিশ্বাস, প্রসেনজিৎ তনু, শিক্ষক আল মামুন পারভেজ প্রমুখ।