পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামী লীগকে ইতিহাসের পাতা থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়ে ছিলো। কিন্তু আজ ঘাতকরাই ইতিহাসের আস্তা খুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ৭৫’র ঘাতকদের সর্বোচ্চ বিচার হয়েছে। পলাতক বাকী খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে সরকার কাজ করছে। শনিবার বিকেলে মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শামছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের শোক শক্তিতে রুপান্তরিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগস্ট মাস এলেই সকল অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। যে কারণে এ মাস এলেই স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির হৃদয় স্পন্দন অজানা আতঙ্কে কেঁদে উঠে।
আওয়ামী লীগ নেতা মোমিন সরদারের পরিচালনায় প্রধান অতিথি আরও বলেন, যখন সদ্য স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করে দেশকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করছিলেন, ঠিক সেই সময় বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামী লীগককে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছর বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আজ বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। বিশ্বের বুকে দেশ আজ মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে। উন্নয়নের শিখরে আরোহন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড.বশির আহহম্মেদ খান। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, আবদুল আলীম জিন্নাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান, প্রভাষক মামুন অর রশিদ প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও শাহাদাৎ বরণকারি পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়।