সরকারী হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসাবিহীন গত তিনদিন ধরে পরেছিলো অজ্ঞাতনামা যুবক (২২)। অসুস্থ ওই যুবকের চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসেনি কেউ। ফলে অচেতন ওই যুবকের শরীরে পোকা ও পিঁপড়ায় বাসা বেঁধেছিলো।
হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে ওই যুবককে হাসপাতালের ফ্লোর থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সরকারী কর্মচারী সেই মানবতার ফেরিওয়ালা শিপন হাওলাদার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ২৪ আগস্ট গুরুত্বর অসুস্থ ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করেন পুলিশ সদস্যরা। ভর্তির পর থেকে ওই যুবক চিকিৎসাবিহীনভাবে হাসপাতালের ফ্লোরে পরে থাকলেও তার ভাগ্যে জোটেনি কোন চিকিৎসা সেবা।
রোববার সকালে আগৈলঝাড়া ইউএনও’র কার্যালয়ের কর্মচারী ও মানবতার ফেরিওয়ালা গৌরনদীর টিখাসার গ্রামের বাসিন্দা শিপন হাওলাদার বলেন, শনিবার রাতে এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুঁটে যাই। পরবর্তীতে হাসপাতালের সিঁড়ির গোড়ার ফ্লোর থেকে অচেতন অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করি। এরপর জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে অজ্ঞাতনামা ওই যুবকের চিকিৎসার জন্য আমি দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিপন আরও বলেন, হাসপাতালের ফ্লোরে পরে থাকায় ওই যুবকের শরীরে পোকা ও পিঁপড়ায় বাসা বেঁধেছিলো। পুরোপুরি সুস্থ্য হওয়ার পর ওই যুবকের স্বজনদের খুঁজে বের করা হবে বলেও তিনি (শিপন) উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাজেদুল ইসলাম কাওছার বলেন, গত ২৪ আগস্ট ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর যাবতীয় চিকিৎসা দিয়ে বেডে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু রোগী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় নিজেই ফ্লোরে নেমে এসেছে। হাসপাতালের স্টাফরা তাকে কয়েক বার নিচ থেকে উপরে বেডে নিয়ে রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, রোগীকে চিকিৎসা কিংবা ওষুধপত্র দেয়ার দায়িত্ব চিকিৎসকের। কিন্তু অজ্ঞাত রোগীদের স্বজনদের খুঁজে বের করার দায়িত্বতো আর চিকিৎসকের নয়। অনেকসময় জটিল রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র প্রেরণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে অজ্ঞাত রোগী হলে কেউ রিসিভ করতে চায়না।