গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বেচাই ওরফে পরিতোষ বাড়ৈ (৫০) নামে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় কবিরাজ বেচাই ওরফে পরিতোষ বাড়ৈকে ধরে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। বর্তমানে ওই কবিরাজ পলাতক রয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বঙ্গলক্ষী বাজারে ওই স্কুল শিক্ষিকার বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
অপরদিকে কবিরাজ বেচাই ওরফে পরিতোষ বাড়ৈ উপজেলার গোলাবাড়িয়া গ্রামের কালিপদ বাড়ৈর ছেলে।
ওই স্কুল শিক্ষিকা জানান, গত কয়েক মাস ধরে শারিরীক সমস্যার কারণে তিনি বেচাই ওরফে পরিতোষ কবিরাজের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে আসছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কবিরাজ পরিতোষ ঔষধ দেওয়ার কথা বলে তার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরে একা পেয়ে কবিরাজ বেচাই ওরফে পরিতোষ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে ওই শিক্ষিকার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে কবিরাজ পরিতোষকে ধরে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন ওই স্কুল শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে জানার জন্য বেচাই ওরফে পরিতোষ বাড়ৈর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরিতোষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে তার স্ত্রী জয় মালা বাড়ৈ।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেভা রানী বনিক বলেন, কবিরাজ পরিতোষের ধর্ষণ চেষ্টার শিকার আমাদের ওই শিক্ষিকা খুবই ভদ্র স্বভাবের মহিলা। তিনি বঙ্গলক্ষ্মী বাজারে তার মাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। ঘটনার দিন তার মা বাড়িতে ছিলেন না। কবিরাজ পরিতোষ তার সাথে যে ব্যবহার করেছে আমরা তার সুষ্টু বিচার চাই।
ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওমর শরীফ বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।