বগুড়ার গাবতলীতে জমিজমা ও পুর্ব শত্রুতার জেরধরে বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোরপুর্বক প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর, টাকা লুট ও ২ নারীসহ ৩ জনকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ৭ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, গাবতলী সদর ইউনিয়নের উনচুরখী মধ্যপাড়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী বিউটি বেগম বাদী হয়ে এজাহারে বলেছেন, মহিষাবান ইউনিয়নের মহিষাবান দক্ষিন সরকারপাড়া গ্রামে পিতা মকবুল হোসেন’র বাড়ি অবস্থান করছিলেন। ঘটনার দিন ২৪ আগস্ট একই গ্রামের বিবাদী ফকির মাহমুদ, তাজলু ও ফজলুসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন জমিজমা সংক্রান্ত ও পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই বিবাদীগন, বাদীনির পিতা মকবুল হোসেনের বাড়িতে এসে হামলা চালায়।
বসত বাড়ি ভাংচুর করতে থাকে, এ সময় বাদীনি বিউটি বেগমের মা ৭০ বছরের বয়স্কা বৃদ্ধা চাম্পা বেগম, ভাই আবদুল মজিদ (৩৫), ভাবি ববি খাতুন (৩০) বাধা দিলে তাদেরকে উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় বিবাদীগন। হামলা ও আঘাতে হাড়ভাঙ্গা কাটা রক্তাক্ত জখমসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা, ববি খাতুনের পরিধেয় বস্ত্র খুলে শ্লীলতাহানী ও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসার আগেই বিবাদীগন ঘরে রক্ষিত শো-কেসের ড্রয়ারভেঙ্গে গরু বিক্রির ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট ও বসতবাড়ি ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিকরে।
হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রাননাশসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে, গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্র ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। এ ঘটনায় মকবুল হোসেনের মেয়ে বিউটি বেগম বাদী হয়ে, ২৭ আগস্ট গাবতলী মডেল থানায় উপর্যুক্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা করেছেন। এব্যপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।