ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলায় মোট ১৪ টি বেকারি রয়েছে। এর বাইরেও যত্রতত্র যেখানে সেখানে নামে বেনামে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু বেকারী। কোটচাঁদপুর সড়কে মোচিক তেল পাম্পের পশ্চিমে শিশির বেকারী নামের একটি কারখানা রয়েছে। শিশির বেকারীর মালিক রফিকুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘ ৭ বছরের অধিক সময় ধরে এই ব্যাবসা করে আসছেন।তিনি বেকারীতে কেক,রুটি,বিস্কুট, পেডিস,ডেনিস,ভাজা,লাড্ডু, জন্মদিনের কেক তৈরি করে স্থানীয় বাজার ও ইউনিয়নের বাজার গুলোতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকেন।
সরোজমিনে বেকারীর কারখানাটিতে গিয়ে দেখা যায়,অত্যান্ত অস্বাস্থ্যকর, ময়লা ও নোংরাযুক্ত পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হচ্ছে। কারখানাটিতে মশা মাছি উড়ে বসছে তৈরিকৃত খাবারের উপর, নিন্মমানের খাদ্য উৎপাদন সামগ্রীর ব্যবহার করা হচ্ছে।শু ধু তাই নয়, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং ও কেমিক্যাল এর ব্যাবহারও চোখে পড়ে। পাশাপাশি বেকারী কারখানার শ্রমিকরা নোংরা পোশাকে ঘর্মাক্ত শরীরে উৎপাদন কাজ করছেন। এই বেকারীর উৎপাদিত খাদ্য দ্রব্যের কোনোটিতেই নেই কোনো বিএসটিআই এর অনুমোদন। বেকারীর ব্যাবসা পরিচালনার জন্য যেসব নিয়ম নীতি মানা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবশ্যক তার কিছুই নেয়। স্যানেটারী লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্সও এই বেকারীর নেয়। এ ব্যাপারে বেকারী মালিক রফিকুল ইসলাম জানান,আমার ট্রেড লাইসেন্স আছে,আর অন্য কোনো কাগজ নেয়। আমার ছোটো ব্যাবসা হওয়ায় ওইসব কাগজ করিনি। শুধু আমি না অনেক বেকারী মালিক এভাবেই কাজ করছে। আমাকে না ধরে সেসব বেকারী গুলো ধরেন।
কালীগঞ্জ পৌরসভার স্যানেটারী ইনেসপেক্টর আলমগীর হোসেন জানান,শিশির বেকারীর কাঁচা ঘরে ফ্যাক্টরি হওয়ায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে উনি ব্যর্থ হয়েছেন। ইতঃপূর্বে তার কারখানা পরিদর্শন করে তাকে নির্দেশনা দিয়েছি। এই নির্দেশনার ব্যাত্যয় ঘটলে পুনরায় পরিদর্শন করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ জিয়াউল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান,খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনের যথাযথ প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলি অনুসরণ না করে যদি উৎপাদন কার্য পরিচালনা করে এবং উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য ক্রয়পূর্বক ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ঐ বেকারীতে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।