ভোলায় প্রশাসন এবং পুলিশের বাধার মুখে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে যেতে পারেনি হাফিজ ইব্রাহীম। রোববার সকালে ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম ভোলা জেলা শহর থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশে যাওয়ার পথে জেলা শহরের যুগীরঘোল এলাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পুলিশ তার গাড়ি বহর ও বিএনপি নেতা কর্মীদের আটকিয়ে দেয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন হাফিজ ইব্রাহীম। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোলা-২ আসনের সরকার দলীয় এমপির নির্দেশে প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার অজুহাতে যুগীরঘোল এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ তাকে যেতে দেয়নি।এসময় তিনি আরও বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ অতিষ্ঠ। জনগণ বর্তমান আওয়ামী সরকারের পক্ষে নেই। বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে তারা ভয় পাচ্ছে। এজন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। তবে বিএনপি এতে থেমে থাকবে না। আগামী কাল সোমবার দৌলতখান উপজেলায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।রোববার দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ ইব্রাহীম অভিযোগ করেন, বোরহানউদ্দিনে সমাবেশ করার আগেই শনিবার সরকার দলের ক্যাডার বাহিনী বোরহানউদ্দিনের বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে ৮ থেকে ১০ জনকে কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এদের অনেকে হাসপাতালে আছে। অনেকে ভয়ে হাসপাতালেও যেতে পারেনি। হাফিজ ইব্রাহীম জানান, প্রশাসনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংঘাত এড়ানোর জন্যই তিনি বোরহানউদ্দিন সমাবেশ করতে যাননি। তবে আগামীকাল সোমবার দৌলতখান উপজেলায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন হাফিজ ইব্রাহীম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, ভোলা পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রব আকনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।